পুলিশের সঙ্গে বচসায় অবরোধকারীরা। —নিজস্ব চিত্র।
মালিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দোকানের এক কর্মচারী। সেই বচসা চলাকালীন ওই কর্মচারীকে চড় মেরেছিলেন দোকানের মালিক। সঙ্গে জুটেছিল তাঁর মারধরও। এর পর দোকানের মধ্যেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান কর্মচারী। সে অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় ওই মধ্যবয়সি কর্মচারীর। মঙ্গলবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত দোকান মালিককে গ্রেফতার করেছে কেশপুর থানার পুলিশ। তবে এ নিয়ে দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়পরিজন ও স্থানীয়েরা। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দিয়ে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম তারাপদ দলবেরা (৪৭)। মঙ্গলবার কেশপুর থানার গোলাড় গ্রামের বাসিন্দা তারাপদকে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে এলাকার একটি দোকানের মালিক শাজাহান আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, স্থানীয় একটি কাপড় ও হার্ডওয়্যারের দোকানে প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছিলেন তারাপদ। মঙ্গলবার কোনও বিষয় নিয়ে শাজাহানের সঙ্গে তাঁর তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সে সময় শাজাহান তাঁকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারাপদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার তারপদর মৃত্যুর খবর পেয়ে গোলাড়-নেড়াদেউল রাস্তা অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁর প্রতিবেশী ও পরিজনেরা। খবর পেয়ে পরে পুলিশকর্মীরা সেখানে পৌঁছন। পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়ে ক্ষুব্ধ জনতা। পরে তারাপদর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বচসার জেরে নিজের দোকানের এক কর্মচারীকে মারধর করেন শাজাহান। তার জেরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় ওই কর্মচারীর। এই ঘটনায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে শাজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হবে।’’