গোল্ড হাবের জন্য তৈরী হচ্ছে নতুন ভবন। দাসপুরের ফরিদপুরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।
বহু প্রতীক্ষিত সোনার হাব পুরোদমে চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। সব ঠিকঠাক চললে পুজোর পরই ওই হাবে গয়না উৎপাদন শুরু হবে বলে জেলা শিল্প দফতর জানিয়েছে।
জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প সোনার হাব। পুজোর মধ্যেই গয়না তৈরি শুরু হয়ে যাবে।” জেলা শিল্প দফতরের জেনারেল ম্যানেজার শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, “হাবে গয়না তৈরির যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স তৈরি করা হয়েছে।’’
ঘাটাল-দাসপুরে সোনার হাব গড়ার দাবি বহু পুরনো। করোনা পরিস্থিতির সময় পরিযায়ী স্বর্ণশিল্পীদের দুর্ভোগ সামনে আসার পরই তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী। বহু জট পেরিয়ে দাসপুর-২ ফরিদপুর মৌজায় গড়ে উঠছে ওই হাব। প্রায় এক একর আশি শতক জমির উপর তিনতলা বাড়ি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। সেখানে বড় বড় হলঘরও রয়েছে। ইচ্ছুক ব্যবসায়ীর ওই হলঘরে পৃথক ভাবে ঘর তৈরি করবেন বলে খবর। ক্ষুদ্র ছোট মাঝারি উদ্যোগপতি ও বস্ত্র শিল্প দফতরের নজরদারিতে তৈরি হচ্ছে ওই হাব। বাড়ি তৈরি করছে পূর্ত দফতর।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, হাবের ভবন তৈরির পর যাতে ঘর পড়ে না থাকে, সে ব্যাপারে কড়া বার্তা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতা-সহ ভিন্ রাজ্যের বিভিন্ন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। চাহিদা বুঝতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। ভিন্ রাজ্যের প্রায় শতাধিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী হাবে গয়না তৈরি করতে ইচ্ছুক বলে আবেদন করেছিলেন। ২৪ জুলাই দাসপুর ২ ব্লকে এক জরুরি বৈঠক হয়। প্রাথমিক ভাবে ইচ্ছুক ৪০ জন স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ডাকা হয়েছিল। ঠিক হয়েছে সমবায় ভিত্তিতে চলবে ওই হাব। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাই পুরো হাব পরিচালনা করবেন। সমিতিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ৫১ হাজার করে টাকা করে জমা দেবেন। এটা তাঁদের নিজস্ব তহবিলেই জমা থাকবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে নয় জনের একটি ‘বোর্ড অফ ডিরেক্টর’ গঠন
করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে ভবন ওই কমিটির হাতে হস্তান্তরিত করা হবে। ঘর তৈরি, বিদ্যুৎ সংযোগ, রং, পানীয় জল, শৌচাগার-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো সরকার করে দেবে। ব্যবসায়ীরা শুধু নিজেরা বিনিয়োগ করবেন।