এন বীরেন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
দু’দিন আগেই সুরটা ধরিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। এ বার সেই সুরেই গাইলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। বললেন, “জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলিকে নিয়ে পৃথক প্রশাসনের দাবিতে রাজ্যে যে আন্দোলন চলছে, এর সবটাই হচ্ছে বিদেশি মদতে। কিছু দিন আগে-পরে হলেও আন্দোলনের সমস্তমাথা বিদেশ থেকে এসেই মণিপুরে বসতি গড়েছেন।”
মুখ্যমন্ত্রী আজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কুকি ন্যাশনাল অর্গ্যানাইজ়েশনের প্রধান পিএস হাওকিপ মায়ানমারের বাসিন্দা। মণিপুরে আসার আগে নাগাল্যান্ডে একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। জোমি রেভোলিউশনারি আর্মির টি গাইতে-ও মায়ানমারেরই মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামোল্লেখ না করলেও তাঁর বক্তব্যের সূত্র ধরেই বীরেন বলেছেন, “অনুপ্রবেশকারী বা বিদেশিরা যাতে মণিপুর চালনা করতে না পারেন সে জন্য সব ধরনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।” মুখ্যমন্ত্রী এ-ও শোনান, থাদৌ, মার, পাইতে, ভাইপেই প্রভৃতি আদি বাসিন্দাদের নিয়ে তাঁদের এমন অভিযোগ নেই।
১২ নভেম্বর জিরিবামের বড়বেকরা গ্রামের ঘর পোড়ানো, অপহরণ, হত্যা, সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শতাধিক কুকি জঙ্গি আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিল। সিআরপি জওয়ানেরা সময়মতো উপস্থিত না হলে সে দিন মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেত। তিনি সে জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বীরেন সিংহ জানান, জিরিবামের হত্যাকারীদের শায়েস্তা করা হবে। তাদের গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক তল্লাশি চলছে।
শুধু কুকি-মারদের উপর নয়, বীরেন ক্ষিপ্ত আন্দোলনের নামে মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর করা মেইতেই যুবকদের উপরেও। বলেন, ‘‘সোনা-গয়না লুট আন্দোলনের অংশ হতে পারেন না। তাই তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।চলছে ধরপাকড়।’’
মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ রাজ্যের পুলিশপ্রধান রাজীব সিংহকে নিয়ে মণিপুর-মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করলেন। ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট, সীমান্ত বেড়া- সহ সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখেন। সীমান্তের খোলা অংশ ঘুরে দেখে তাঁরা বিআরটিএফ কর্তাদের কাছে বেড়া বসানোর কাজের অগ্রগতি জেনে যান। ফেরার পথে মোরে ইন্সপেকশন বাংলোতে মণিপুর পুলিশের কমান্ডো ইউনিটের অফিসারদের ডেকে কথা বলেন।