—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কেন্দ্র না দেওয়ায় রাজ্যে একশো দিনের কাজের মজুরি হিসেবে বকেয়া টাকা তাঁর সরকারই মিটিয়ে দেবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোট আসন্ন। এই আবহে ওই উদ্যোগ ঘিরে প্রচার তুঙ্গে নিয়ে যেতে তৎপর মমতা সরকার। প্রশাসন সূত্রে খবর, বকেয়া মজুরির টাকা পৌঁছনোর বার্তা শ্রমিকদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে পৌঁছবে। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা শুভেচ্ছাপত্রও পৌঁছবে। এই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এ নিয়ে জেলাকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। রাজ্য এক এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রোসিডিওর) জারি করেছে। ওই এসওপি পৌঁছনোর পরে জেলায় এ নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
ওই উদ্যোগের কথা প্রচারে জেলার বিভিন্ন এলাকায় হোর্ডিং লাগানো হবে। ফ্লেক্স ঝোলানো হবে। পোস্টার সাঁটানো হবে। লিফলেট বিলি করা হবে। এই সব প্রচার সামগ্রী রাজ্য থেকে শীঘ্রই জেলায় পাঠানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ২১ ফেব্রুয়ারি, ভাষা দিবসের দিনই একশো দিনের বকেয়া মেটানো শুরু হবে। তার আগে, রাজ্যের নির্দেশে জেলায় শুরু হয়েছে শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই। একাধিক বিষয় যাচাই করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে শ্রমিকের নাম, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, কোন ব্যাঙ্কের কোন শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে প্রভৃতি। প্রশাসন সূত্রে খবর, তথ্য যাচাইয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে কিছু পরিদর্শক দল গড়া হয়েছে। দলে অন্তত দু’জন থাকছেন। পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট কিংবা নির্মাণ সহায়ক কিংবা সচিব কিংবা সহায়ক, এমন একজন। অন্যদিকে, গ্রাম রোজকার সহায়ক (জিআরএস) কিংবা ভিলেজ লেভেল এন্টারপ্রেনিয়র (ভিএলই) কিংবা ভিলেজ রিসোর্স পার্সন (ভিআরপি), এমন একজন। পরিদর্শক দলকে জানানো হয়েছে, বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। রাজ্যের নির্দেশ, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে হবে। এরপর শ্রমিকদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে। ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে হবে।
চূড়ান্ত তালিকায় যাতে কোনও ভুলত্রুটি না থাকে, সেটা খতিয়ে দেখে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যের নির্দেশ, ব্লকস্তরে যে তালিকা তৈরি হবে, তা ঠিকঠাক কি না, সেটা খতিয়ে দেখবে মহকুমা এবং জেলাও। মহকুমা তাঁর অধীনে থাকা ব্লকগুলির ৫- ১০ শতাংশ শ্রমিকের তথ্য পুনরায় যাচাই করবে। জেলাও ৫- ১০ শতাংশ শ্রমিকের তথ্য পুনরায় যাচাই করবে। পুনরায় যাচাইয়ের ফলে কোথাও ভুল থাকলে সেটা ধরা পড়বে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে রাজ্য টাকা পাঠাবে জেলায়। জেলা টাকা পাঠাবে ব্লকে।