রবীন্দ্র সদনে কেকে-কে শ্রদ্ধার্ঘ্য মদন মিত্রের। নিজস্ব চিত্র
কেকে-র মতো ভিআইপি যে বিলাসবহুল হোটেলে উঠেছেন সেখানে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা থাকবে না কেন? এ বার এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। পাশাপাশি ওই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবও দিয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
বৃহস্পতিবার তমলুকে যান মদন। সেখানে কেকে-র মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি মদন মিত্র, ডাক্তার নই। কিন্তু লোকে জানে যে, আমি ডাক্তারির সঙ্গে যুক্ত। আমি ৩০ বছর পিজি দেখি। সঙ্গে সঙ্গে যদি একটা সরবিট্রেট দেওয়া যেত বা একটা পাম্প দেওয়া বা একটা নেবুলাইজার দেওয়া যেত।’’ মদনের মতে, কেকে যে হোটেলে ছিলেন তার খুব কাছাকাছি কোনও বেসরকারি হাসপাতালে তখনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া যেতে পারত। শহরের বিলাসবহুল হোটেলগুলিতে কেন আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবা থাকবে না সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। মদন বলছেন, ‘‘যেখানে কেকে-র মতো এত বড় এক জন লোক থাকবেন, সেখানে কেন আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবা থাকবে না? আমি মনে করি, প্রতিটি ভাল হোটেলে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা থাকা উচিত।’’
মদনের আরও বলেন, ‘‘বাবুল সুপ্রিয় এবং কেকে-র সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলেছেন, ‘কিছুই হয়নি।’ উনি (কেকে) নেশাও করতেন না। তিনি খুব ফিট ছিলেন। তবে উনি পড়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বলছেন, সেই পড়ে যাওয়াটা মৃত্যুর কোনও কারণ নয়।’’ নিজের শারীরিক অবস্থার কথাও এই প্রসঙ্গে তুলে ধরেন মদন। বলেন, ‘‘আমি সিওপিডির পেশেন্ট। চার বার আমি ২১ জুলাই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।’’
কেকে-র মৃত্যু নিয়ে বিরোধীদের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন মদন। তিনি নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। মদনের তোপ, ‘‘আমরা চাই বিরোধীরা বেঁচে থাকুক। আর আমরা সকলে মারা যাই। কিন্তু সবার আগে দিলীপের চিকিৎসা দরকার। কারণ ও তো সাইকো পেশেন্ট হয়ে গিয়েছে। আমি ওকে সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট দেব এবং আমি নিজে সাইকো নিয়ে ওর পিছনে ঘুরব। ও নিজেই এখন পাগলা ভবানন্দের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’