Mamata Banerjee

‘পাকা বাড়ি পাইয়ে দিন’, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আবেদন লটারি বিক্রেতার, শুনে কী বললেন মমতা?

রঞ্জিত কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত। ঠিক মতো চলাফেরাও করতে পারেন না। লটারি বিক্রি করে যে ক’টা টাকা রোজগার হয়, তা দিয়েই কোনও ক্রমে তাঁদের পাঁচ জনের সংসার চলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৩
Share:

রঞ্জিত মেদিনীপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ার বাসিন্দা। নিজস্ব ছবি।

আবাস প্রকল্পে জোটেনি পাকা বাড়ি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরে আসায় এ বার তাঁর কাছেই আবাস প্রকল্পের বাড়ির জন্য আবেদন করে বসলেন মেদিনীপুরের এক লটারি বিক্রেতা। মুখ্যমন্ত্রীও কথা বললেন তাঁর সঙ্গে। লিখে রাখলেন ওই ব্যক্তির নাম।

Advertisement

বুধবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হেলিপ্যাড থেকে সার্কিট হাউস যাওয়ার পথে এক বার তাঁর গাড়ি থামে। গাড়ি থেকে নেমে এক শিশুকে কোলে তুলে নেন মমতা। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। মমতাকে জানান, আবাস প্রকল্পে তিনি বাড়ি পাননি। যদি কোনও ভাবে একটি পাকা বাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নাম জানতে চান। ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর নাম রঞ্জিত রানা। মেদিনীপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ার বাসিন্দা। এর পরেই সঙ্গে থাকা আধিকারিককে রঞ্জিতের নাম, পরিচয় লিখে নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

রঞ্জিত কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত। ঠিক মতো চলাফেরাও করতে পারেন না। লটারি বিক্রি করে যে ক’টা টাকা রোজগার হয়, তা দিয়েই কোনও ক্রমে তাঁদের পাঁচ জনের সংসার চলে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হওয়ার পর রঞ্জিত বলেন, ‘‘এখনও আমার বাড়ি হয়নি। আমি লেপ্রোসিতে আক্রান্ত। দিদিকে বললাম, আমার একটা পাকা বাড়ি দরকার। দিদিও বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমার তো বাড়ি পাওয়া উচিত।’’’

Advertisement

গ্রামাঞ্চলের মতো শহরের গরিব মানুষের জন্য ‘হাউস ফর অল’ চালু রয়েছে। সেই প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন রঞ্জিত। এ বিষয়ে মেদিনীপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রানি দাস বলেন, ‘‘রঞ্জিত রানার নাম আবাস প্রকল্পে নথিভুক্ত রয়েছে। টাকা এলেই ওঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রঞ্জিত ছাড়াও তাঁর ভাই অশোক রানা এবং পুরী রানার নাম নথিভুক্ত রয়েছে উপভোক্তাদের তালিকায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement