ছবি: এএফপি।
কবে ঝাড়গ্রামে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী! দিনভর বিভ্রান্তি বিজেপির জেলা নেতৃত্বের অন্দরে।
বিজেপির জেলা নেতৃত্ব রবিবার প্রথমে জানান, পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে ৫ মে ঝাড়গ্রামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা হবে। সভাস্থল নিয়ে গোপনীয়তা থাকলেও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই দিন পৌনে তিনটে নাগাদ ঝাড়গ্রামে মোদীর কপ্টার নামবে। এত পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। গোল বাধল তখন, যখন বিজেপির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট জানানো হল, অনিবার্যকারণবশত সভার দিন পরিবর্তন হয়েছে। ৫ মে এর পরিবর্তে তা হবে ৯ মে। এর প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ফের জানানো প্রধানমন্ত্রীর সূচি অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ সভা হবে ৫ মে-ই। কেন এই বিভ্রান্তি? বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর জবাব, ‘‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মতো কাজ হচ্ছে।’’
সুখময় কয়েকদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়েছিলেন, ৫ মে মোদীর সভা হবে ঝাড়গ্রামে। দলীয় প্রার্থী কুমার হেমব্রমের সমর্থনে সভা করবেন তিনি। এর মধ্যেই শনিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় তাদের প্রার্থী বিরবাহা সরেনের সমর্থনে দু’টি জনসভা করতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ তারিখ সভা হবে গোপীবল্লভপুরে। ৫ তারিখ সভা বেলপাহাড়িতে। ৫ মে একই দিনে জেলায় মোদী ও মমতার জনসভা হওয়ার ঘোষণায় শনিবার থেকে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নাকি প্রধানমন্ত্রী কার সভায় বেশি লোক হবে। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে বিভ্রান্তি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সভা বানচাল করার জন্য তৃণমূল চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই কোন মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভাটি হবে তা চূড়ান্ত হওয়ার পরে ঘোষণা করা হবে। তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, ‘‘৫ তারিখ বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লাখো মানুষের ঢল নামবে। সেটা আঁচ করে বিজেপি বিষম খাচ্ছে। জঙ্গলমহলে বিজেপি-র এমনই হাল যে ৫ তারিখ ওদের সভা হবে কি হবে না সেটাই ঠিক করতে পারছে না।’’ সুখময়ের পাল্টা জবাব, সভার দিনেই সেটা বোঝা যাবে।’’