—ছবি : সংগৃহীত
এ যেন নামেই পুরসভা!
শতাধিক বছরের পুরনো শহর হলেও, নেই বহু ‘নগর’ পরিকাঠামোই। গ্রামীণ ওয়ার্ডের একাধিক শাখা রাস্তা এখনও মাটির। পানীয় জলও পৌঁছয়নি সব বাড়িতে। নিকাশির তো বালাই নেই। নেই ভাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার অলি-গলি। ছোট করে বলা গেলে, কার্যত সবদিক পিছিয়ে শহর রামজীবনপুর। তবে বিশেষ আর্থিক করিডর প্রকল্পের অধীনে এলাকায় জাতীয় সড়ক তৈরি হলে ভোল পাল্টে যাবে রামজীবনপুরের— এমনটাই মনে করছেন মহকুমাবাসী। এলাকাটি প্রস্তাবিত তিনটি জাতীয় সড়কের সংযোগস্থল হতে চলেছে বলে খবর। আর তাতেই আশার আলো দেখছেন ট্রেন পরিষেবাহীন ঘাটাল
মহকুমার মানুষ।
কয়েক বছর ধরেই খড়্গপুর-মোড়গ্রাম, বারাণসী-কলকাতা এবং রক্সৌল-হলদিয়া— তিনটি প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই তিনটি সড়কই আবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপর দিয়ে যাওয়ার কথা। খবর, তিনটি জাতীয় সড়কই চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের উপর দিয়ে যাবে। জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে নবান্নের নির্দেশ মিলতেই প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে তৎপরতা। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়্গপুর-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কের জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে। জমির মালিকদের নিয়ে শুনানি প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে।
অন্য দিকে, বারাণসী-কলকাতা প্রস্তাবিত ওই জাতীয় সড়কের জন্যেও এই জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জেলার কোন কোন ব্লকের উপর দিয়ে সড়কটি যাবে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা শুরু হয়েছে। তবে প্রস্তাবিত রক্সৌল-হলদিয়া সড়কের জন্য জেলায় এখনও কিছু প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলে খবর। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরী বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত তিনটি জাতীয় সড়ক পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। সড়কগুলি রামজীবনপুরে এসে সংযুক্ত হওয়ার কথা।’’ একটা সময় রামজীবনপুর বিখ্যাত ছিল তাঁত শিল্পের জন্য। রামজীবনপুর সেই শিল্প এখন ধুঁকছে। তিনটি জাতীয় সড়কের সংযুক্তি ঘটলে কেবল রামজীবনপুর নয়, উন্নয়নের নিরিখে গোটা ঘাটাল মহকুমার আর্থ-সামাজিক উন্নতি ঘটবে বলে আশা করছেন অনেকে।