দুর্ঘটনা এড়াতে শহরে তৈরি হোক ফুটপাথ

তমলুক শহরেই আমার জন্ম। এই শহরেই বড় হওয়া। পুরসভার উদ্যোগে শহরের রাস্তাঘাট, পানীয় জলের ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ যে হয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে প্রাচীন পুরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম তমলুকে যে গতিতে উন্নয়ন আশা করেছিলাম, তা এখনও হয়নি। শহরের রাস্তাগুলি সঙ্কীর্ণ। তাই যানজট নিত্যদিনের সমস্যা।

Advertisement
তমলুক শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০২:৩২
Share:

জেলা হাসপাতালের সামনে যানজটের এই ছবি নিত্যদিনের।

রাস্তা সম্প্রসারণ প্রয়োজন

Advertisement

তমলুক শহরেই আমার জন্ম। এই শহরেই বড় হওয়া। পুরসভার উদ্যোগে শহরের রাস্তাঘাট, পানীয় জলের ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ যে হয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে প্রাচীন পুরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম তমলুকে যে গতিতে উন্নয়ন আশা করেছিলাম, তা এখনও হয়নি। শহরের রাস্তাগুলি সঙ্কীর্ণ। তাই যানজট নিত্যদিনের সমস্যা। শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলির মধ্যে হাসপাতাল মোড়, মানিকতলা মোড়, শঙ্করআড়া মোড়, বর্গভীমা মন্দির, বড়বাজার, এলাকায় যানজটে নাভিশ্বাস ওঠে পথচারীর। জেলা ভাগের পর থেকে শুনে আসছি, মানিকতলা থেকে হাসপাতাল মোড় হয়ে নিমতলা পর্যন্ত প্রধান রাস্তার সম্প্রসারণ করে ‘ওয়ান-ওয়ে’ যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু সেই কাজ এখনও হল না। শহরে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুরসভার আরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। শহরের রাস্তাঘাটের সম্প্রসারণ ছাড়াও রাস্তার পাশে ফুটপাথ তৈরি করা প্রয়োজন। তাছাড়াও শহরে উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। আশা করি, পুরসভা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দেবে।

স্বপন ভৌমিক, চিকিৎসক, শঙ্করআড়া।

Advertisement

স্থায়ী সংস্কৃতি কেন্দ্র চাই

নাট্যচর্চায় তমলুক শহরের গৌরবময় অতীত রয়েছে। ১৮৯০ সালে এই শহরে প্রথম মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘হরিশ্চন্দ্র’। দীর্ঘদিন শহরে কোনও স্থায়ী মঞ্চ ছিল না। পরবর্তী কালে শহরে কয়েকটি মঞ্চ গড়ে উঠলেও সেগুলি আধুনিক নয়। শহরে সাংস্কৃতিক চর্চার ধারা অব্যাহত থাকলেও সঠিক পরিচর্যার অভাবে বহু প্রতিভা অবহেলিত থেকে গিয়েছে। বর্তমানে শহরে রয়েছে একাধিক আর্ট স্কুল, আবৃত্তি অনুশীলন কেন্দ্র, বেশ কয়েকটি নাট্যদল ও সঙ্গীত চর্চার স্কুল। তমলুকের পুরসভা ভবনের উপরে একটি ছোট হলঘর রয়েছে ও শালগেছিয়া এলাকায় পুরসভার উদ্যোগে তৈরি সুবর্ণ জয়ন্তী ভবন রয়েছে। যদিও সেগুলিও নাট্য অভিনয়ের উপযোগী নয়। শহরে কোনও স্থায়ী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও নেই। ফলে শহরের নাট্যদল-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। শহরে নাট্যচর্চার উপযোগী প্রেক্ষাগৃহ ও চিত্র প্রদর্শনী-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য স্থায়ী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

রক্তকমল দাশগুপ্ত, নাট্যকর্মী, পদুমবসান

আধুনিক বাজার নেই শহরে

জেল মোড়ে রাস্তার ধারেই বসেছে বাজার।

তমলুক শহরের উত্তরপ্রান্তে আমার বাড়ি। বাড়ির কাছে বাজার বলতে হরিরবাজার। তাও বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। আর শহরের দক্ষিণ দিকে শঙ্করআড়ায় রয়েছে বড়বাজার। এখনও পর্যন্ত শহরে পুরসভার এটি একমাত্র বাজার। দীর্ঘদিন শহরে নতুন করে কোনও বাজার গড়ে উঠেনি। অথচ শহরের চারিদিকেই নতুন বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। কিন্তু শহরে নতুন করে কোনও বাজার তৈরি হয়নি। শহরের মানিকতলা, জেলখানা মোড়, হাসপাতাল মোড় এলাকায় খোলা আকাশের নিচে প্রতিদিন ছোট বাজার বসে। পুরসভার কাছে আবেদন, শহরের বড়বাজার সংস্কার করে আধুনিকভাবে গড়ে তোলা হোক। শহরের মানিকতলা, হাসপাতাল মোড় ও আবাসবাড়ির দিকে নতুন বাজার গড়ে উঠলেও শহরবাসীর সুবিধা হবে।

আশুতোষ দাস, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, আবাসবাড়ি।

জঞ্জাল সাফাই অনিয়মিত

প্রতিদিন সকালে শহরে জঞ্জাল সাফাই করার জন্য তমলুক পুরসভার অনেক কর্মী ও গাড়ি রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন জঞ্জাল সাফাইয়ের সময় ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এরফলে সকালে যখন রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ পরিস্কার থাকার কথা সেই সময়ে দেখা যায় রাস্তার ধারে জঞ্জালের স্তুপ। এমনকি অফিস, স্কুল-কলেজে যাতায়াতের সময় শহরের বেনেপুকুর, বড়বাজার, বাদামতলা এলাকায় সাফাই কর্মীরা রাস্তার মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে জঞ্জাল তোলার কাজ করে। ফলে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া আবর্জনা থেকে দূষণও ছড়ায়। ইদানীং রবিবারও শহরের অনেক এলাকায় জঞ্জাল সাফাই হচ্ছে না। প্রতিদিন সময় মতো শহরের আবর্জনা পরিষ্কার প্রয়োজন।

স্বপন কর,আইনজীবী, পার্বতীপুর।

রেলগেটে নিত্য যানজটে নাভিশ্বাস শহরবাসীর

অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে ধারিন্দা রেলগেট।

কর্মসূত্রে আমাকে প্রায় প্রতিদিন শহরের বাইরে যেতে হয়। শহর থেকে হলদিয়া, ময়না ও পাঁশকুড়াগামী তিনটি প্রধান সড়কে প্রায়ই যাতায়াত করি। গত কয়েক বছর হল প্রতিদিন ট্রেন আসার সময় রেলগেটে বাস, মোটরবাইক-সহ বিভিন্ন গাড়ি আটকে পড়ে। তমলুক শহরের পশ্চিম দিক দিয়ে চলে গিয়েছে রেললাইন। তমলুক থেকে পাঁশকুড়াগামী সড়কে মানিকতলার কাছে, তমলুক থেকে ময়নাগামী সড়কে ধারিন্দার কাছে ও মেচেদা থেকে হলদিয়া যাওয়ার পথে তালপুকুরের কাছে মোট তিনটি রেলগেট রয়েছে। আগে ওই রেলপথে মূলত হলদিয়া শিল্পাঞ্চলগামী মালগাড়ি আর কয়েকটি লোকাল ট্রেন যাতায়াত করত। কিন্তু এখন ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে তমলুক শহর থেকে যাওয়া রাস্তাগুলিতে রেল ক্রসিংগুলির কাছে সারাদিনে বেশ কয়েকবার রেলগেট বন্ধ রাখতে হয়। এরফলে অফিসে ও স্কুল-কলেজে যাতায়াতের ব্যস্ত সময় বহু মানুষকে আটকে পড়তে হয়। ফলে দুর্ভোগের শিকার হন পথচারীরা।

কৃতিসুন্দর পাল, লেখক, আবাসবাড়ি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement