CPM

ঘরে ফেরেননি দীপক, ব্রিগেডে বামেদের বাড়তি সতর্কতা আজ

বামেদের নবান্ন অভিযানের ওই কর্মসূচির পরে আজ, রবিবার রয়েছে ব্রিগেডের সভা। দলের অন্ধভক্ত দীপক বাড়িতে থাকলে রবিবারও ব্রিগেডে যেতেন বলে জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সরস্বতী। 

Advertisement

দিগন্ত মান্না

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:০৩
Share:

স্বামীর অপেক্ষায়। নিজস্ব চিত্র।

দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাতসকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মানুষটা। সপ্তাহ দু’য়েক আগে। তার পরে আর ফিরে আসেননি পাঁশকুড়ার বাম কর্মী দীপক পাঁজা। শনিবার বাড়ির দাওয়ায় বসে স্ত্রী সরস্বতী কান্না ভেজা গলায় বলছিলেন, ‘‘বাড়িতে থাকলে রবিবারও তো উনি ব্রিগেডে যেতেন!’’

Advertisement

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বামেদের নবান্ন অভিযান ছিল। পাঁশকুড়ার খণ্ডখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাহারপোতা গ্রামের সিপিএম কর্মী দীপক ওই দিন সেই অভিযানে গিয়েছিলেন। পুলিশের লাঠিচার্চের সময়ে দীপক অন্যদের থেকে ছন্নছাড়া হয়ে যান। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। বিড়ি শ্রমিক দীপকের স্ত্রী বাড়িতে একা। স্বামীর খোঁজে এক বার কলকাতা ঘুরেও এসেছেন। বামেদের নবান্ন অভিযানের ওই কর্মসূচির পরে আজ, রবিবার রয়েছে ব্রিগেডের সভা। দলের অন্ধভক্ত দীপক বাড়িতে থাকলে রবিবারও ব্রিগেডে যেতেন বলে জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সরস্বতী।

সরস্বতী বলছেন, ‘‘বাড়িতে থাকলে তো রবিবারও উনি সকালে অন্যদের সঙ্গে ব্রিগেডে চলে যেতেন। কিন্তু ১১ ফেব্রুয়ারি কী হল যে, উনি আহ বাড়িই এলেন না! মানুষটা কোথায় রয়েছে কিছুই জানতে পারছি না। দেখুন না আপনারা যদি খোঁজ দিতে পারেন।’’ নিঃসন্তান এই সরস্বতী ঘরে একাই রয়েছেন। তবে তাঁকে সান্তনা দিতে প্রায়ই তাঁর বাড়িতে আসছেন প্রতিবেশীরা।

Advertisement

দীপকের খোঁজে কলকাতার নিউ মার্কেট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল ১১ ফেব্রুয়ারিই। পরে কলকাতা হাইকোর্টে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ মামলা দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী। সেই মামলায় ১০ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত। ওই দিনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি ব্রিগেড সভায় না ঘটে, সে জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। সিপিএমের পূর্ব মেদিনাপুর সভাপতি নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘দীপক পাঁজার ঘটনার জেরে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাস ও ট্রেনে করে দলীয় কর্মী সমর্থকরা ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। প্রতিটি দলের সদস্যকে নিয়ে যাওয়া ও ফিরিয়ে আনার জন্য আলাদা আলাদা নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ স্থলে কেউ হারিয়ে গেলে, সেখানকার ক্যাম্পে অপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। প্রতি দলের দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা সেই ক্যাম্প থেকে সকলকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement