মাইন কি মাওবাদীরা পুঁতল! শুরু জল্পনা

সোমবার কোবরা বাহিনীর এক আধিকারিক মানছেন, অর্ধেকটা মাটিতে পুঁতে রাখা কাচের বোতলটি আসলে এক ধরনের মাইন ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলপাহাড়ি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৫৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

পুলিশ সে ভাবে কিছু বলতে চায়নি। তবে রবিবার বেলপাহাড়ির জামিরডিহা গ্রামের কাছে রবিবার যে ল্যান্ডমাইনই উদ্ধার হয়েছে তা স্পষ্টই জানিয়েছে সিআরপি। কোবরা বাহিনীর বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা সেই মাইন নিষ্ক্রিয় করেন। সোমবার কোবরা বাহিনীর এক আধিকারিক মানছেন, অর্ধেকটা মাটিতে পুঁতে রাখা কাচের বোতলটি আসলে এক ধরনের মাইন ছিল। বোতলের সঙ্গে তারও সংযুক্ত ছিল। এর পিছনে মাওবাদী সক্রিয়তার কথাও মেনেছে সিআরপি-র একটি সূত্র।

Advertisement

কিষেনজির মৃত্যুর পর থেকে রাজ্য সরকার বারবারই দাবি করেছে জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেই। তবে সম্প্রতি সে সুর বদলেছে। গত ৯ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, “বেলপাহাড়ির কয়েকটা অঞ্চলে কেউ কেউ ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদীদের নিয়ে আসছে। আবার চাইছে ঝাড়গ্রাম রক্তাক্ত হয়ে যাক।” রবিবার জামিরডিহা গ্রামের কাছে মাহাতোবাঁধের মোরাম রাস্তার ধারে কাচের বোতল অর্ধেকটা মাটিতে পোঁতা মেলায় মাইন-আতঙ্ক ছড়াতে দেরি হয়নি। সেটি নিষ্ক্রিয় করার সময় আশপাশের এলাকায় প্রচণ্ড আওয়াজ শোনা যায়, কেঁপে ওঠে মাটি। এত জোরে শব্দ হল কেন? কোবরা-আধিকারিক বলছেন, “বোতলে বিস্ফোরক (আইইডি) ছিল। তাই শব্দের তীব্রতাও বেশি ছিল।”

জঙ্গলমহলের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, কোনও এলাকায় মাওবাদীরা প্রভাব বাড়ালে, পোস্টার ছড়িয়ে কিংবা মাইন পুঁতে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয়। এ ক্ষেত্রে নাশকতা ঘটানোর জন্য নিত্যনতুন কৌশল ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইতিপূর্বে দেখেছে জঙ্গলমহল। তাই সরাসরি কিছু না বললেও চিন্তায় পুলিশ-প্রশাসন। সরাসরি মাওবাদীদের কথা বলছে না তৃণমূলও। দলের জেলা চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলের শান্তি বিঘ্নিত করতে কিছু লোক অপচেষ্টা করছে। পুলিশ-প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’’

Advertisement

বেলপাহাড়ির ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী শিমূলপাল, ঝাড়খণ্ড-পুরুলিয়া সীমানা লাগোয়া বাঁশপাহাড়ি এবং বাঁকুড়ার সীমানা ঘেঁষা ভুলাভেদা— এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এ বার ক্ষমতায় এসেছে আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মঞ্চের সঙ্গে মাওবাদী সংযোগের অভিযোগ তুলেছিল শাসকদল। তবে মঞ্চের নেতা সুনারাম মাণ্ডি এ দিন বলেন, “এলাকায় কোনও মাওবাদী নেই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ পঞ্চায়েত-প্রশাসন গড়ার ডাক দিয়েছি। তাই পরিকল্পিতভাবে মাওবাদী-তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement