ঝলসানো অবস্থায় গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা ব্যবসায়ী সঞ্জয় যাদবের (বাঁ দিকে) দেহ। ছবি: সংগৃহীত।
গাড়ির ভিতরে পুড়ে মৃত্যু হয়নি। আগে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল, তার পর গাড়িসমেতই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়ছিল। উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে জিমি-বাড়ির ব্যবসায়ী সঞ্জয় যাদব খুনে নতুন তথ্য হাতে পেল পুলিশ। পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ির ভিতর থেকে মঙ্গলবার ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের দুই বন্ধু বিশাল এবং জিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, সঞ্জীব এবং তাঁর দুই বন্ধু মিলে রাতে গাড়ির মধ্যেই মদ্যপানের পার্টি করেছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে কুকুর বাঁধার একটি বেল্টও উদ্ধার হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া কুকুরের বেল্ট ঘিরে সন্দেহ বাড়ছে। তা হলে কি সঞ্জয়কে শ্বাসরোধ করতে এই বেল্টই ব্যবহার করা হয়েছিল? তদন্তকারীরা মনে করছেন, সঞ্জয়ের কাছ থেকে সোনার হার, আংটি লুট করা হয়। তার পর তাঁকে শ্বাসরোধ করা হয়। যে হেতু মত্ত অবস্থায় ছিলেন, ফলে দু’জনের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি সঞ্জয়। শ্বাসরোধের পর গাড়িসমেত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ওই ব্যবসায়ীকে। এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের।
মঙ্গলবার দাদরির একটি জঙ্গল থেকে পোড়া গাড়ি এবং তার ভিতরে সঞ্জয়ের ঝলসানো দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, সোমবার রাতে দুই বন্ধু জিৎ এবং বিশালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। তাদের অভিযোগ, বন্ধুরাই সঞ্জয়কে খুন করেছেন। সেই অভিযোগ পেয়েই জিৎ এবং বিশালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, জেরার অভিযুক্তেরা স্বীকার করেছেন, সঞ্জয়ের গায়ে থাকা গয়না লুট করেন তাঁরা। তার পর কুকুরের বেল্ট দিয়ে সঞ্জয়কে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তার পর তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গাড়ির সামনের আসনে বসিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন। দেহ লোপাট করার জন্য দাদরির জঙ্গলকে বেছে নিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। সেখানেই গাড়িসমেত সঞ্জয়কে জ্বালিয়ে দেন বলে অভিযোগ।