সন্তু গিরি। নিজস্ব চিত্র
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। মৃতের নাম সন্তু গিরি (২৬)। তিনি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের সরদা গ্রামের বাসিন্দা। গত শুক্রবার কলকাতার একটি নার্সিংহোমে সন্তু মারা যান বলে পরিবারের দাবি।
সন্তু কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সে চাকরি করতেন। পারিবারিক সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার জ্বরে আক্রান্ত হন সন্তু। সে দিনই তাঁকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে ওই যুবককে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার কয়েক মিনিট পরই, তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের দাবি, ইনজেকশন দেওয়ার পাঁচ মিনিট পর থেকেই তাঁর মুখ থেকে ফ্যানা বার হতে শুরু করে। এর পরই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সড়ক পথে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার সময়, মেচেদা পার হওয়ার সময় রক্ত বমি শুরু হয় সন্তুর। এর পর তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার সেখানেই মারা যান কলকাতা পুলিশের ওই কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর আগেও সরদা গ্রামে এক যুবক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল। তবে আপাতত সেই যুবক সুস্থ রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
সন্তুর মৃত্যুর পর আতঙ্কিত গ্রামবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা দীপঙ্কর গিরি বলেন, ‘‘গোটা পাড়ায় এক এক করে মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই পাড়ার সকলেই এখন জ্বরের ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত।’’ কী ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল সন্তুকে? প্রশ্নের উত্তরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই রোগীর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে জীবনদায়ী কোনও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে নির্দিষ্ট ভাবে কী ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’