মুম্বইয়ের বাড়িতে ফিরে খুশি মুকেশ

পুলিশ এবং হোম সূত্রের খবর, গত ১৩ এপ্রিল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তারপর তাকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। সমিতি পরে শিশুটিকে পাঠায় কাঁথির বোধোদয় হোমে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ০০:১৬
Share:

বাড়ি ফেরার আনন্দে। মুকেশ।

মাস তিনেক আগে হলদিয়া স্টেশনের কাছে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে থাকা এক কিশোরকে উদ্ধার করেছিল দুর্গাচক থানার পুলিশ। তার পরে তার ঠাঁই হয় কাঁথির ফরিদপুর বিবেকানন্দ লোক শিক্ষানিকেতনের ‘বোধোদয় হোমে’। সোমবার মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে ফিরল ওই কিশোর।

Advertisement

পুলিশ এবং হোম সূত্রের খবর, গত ১৩ এপ্রিল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তারপর তাকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। সমিতি পরে শিশুটিকে পাঠায় কাঁথির বোধোদয় হোমে। ওই কিশোর কথা বলতে পারে না। নিজের ঠিকানা এবং অভিভাবকের নাম লিখতেও পারে না। কিন্তু কিশোরের হাতে একটি ফোন নম্বার লেখা ছিল।

হোমের তরফে ওই নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা হয়। জানা যায়, কিশোরের বাড়ি মুম্বইয়ে। পরে মুম্বই পুলিশের সহায়তায় হোমের সুপারের সঙ্গে কিশোরের মায়ের কথা হয়। জানা যায়, কিশোরের নাম মুকেশ রাকেশ শর্মা। তার বাবা নেশার ঘোরে স্ত্রী এবং তাদের মারধর করতেন। মানসিক সমস্যা থাকলেও বাবার এমন আচরণে এর আগে দু’বার বাড়ি থেকে পালায় মুকেশ। মুম্বই পুলিশের সহযোগিতায় সেবার বাড়িতে ফিরে এসেছিল সে। সম্প্রতি একইভাবে ফের সে বাড়ি থেকে পালায়। পৌঁছে যায় হলদিয়ায়।

Advertisement

মুকেশের এমন কাহিনী জানার পর হোম কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হয়। তাঁদের সাহায্য করে মুম্বই পুলিশ, মুম্বই শিশু কল্যাণ সমিতি। গত ২৭ জুলাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের দুই পুলিশকর্মী, জেলা শিশু সুরক্ষা প্রকল্প আধিকারিক মিলন মান্না এবং বোধোদয় হোমের কাউন্সিলার শুভব্রত পালের সঙ্গে মুকেশকে মুম্বই পাঠানো হয়। এ দিন তাঁরা মুম্বইয়ে মুকেশকে মুম্বই শিশু কল্যাণ সমিতির হাতে তুলে দেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ, বোধোদয় হোম-সহ প্রতিনিধিদলকে কৃতজ্ঞতা জানান মুকেশের মা। হোমের সুপার তাপস জানা বলেন, “মুকেশের মা ছেলের হাতে ফোন নম্বর লিখে রেখেছিলেন। তা থেকেই ওকে বাড়িতে ফেরানো সম্ভব হল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement