নার্গিস পারভিনকে বহিষ্কার সিপিআইয়ের। —নিজস্ব চিত্র।
দলীয় প্রতীকে জয়ী হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন খড়্গপুরের সিপিআই কাউন্সিলর নার্গিস পারভিন। সেই অভিযোগে দল থেকে তাঁকে বহিস্কার করল সিপিআই। রবিবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে সিপিআইয়ের খড়্গপুর শহরের পূর্ব আঞ্চলিক পরিষদের নেতা প্রবীর গুপ্ত এ কথা জানিয়েছেন।
সিপিআই যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘খড়্গপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দলের নির্বাচনী প্রতীকে জনগণের বিপুল সমর্থনে নার্গিস পারভিন বিপুল ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষমতা ও আর্থিক লোভের কারণে প্রলোভিত হয়ে দলবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন, যা দল কোনও ভাবেই সমর্থন করে না। তাঁর এই মানসিকতা ও সাম্প্রতিক বিবৃতি দলের নজরে এসেছে এবং এই অবস্থানের তীব্র নিন্দা করছে।’ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নার্গিসকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথাও লেখা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
অবশ্য এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত নার্গিসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুরভোটে খড়্গপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন নার্গিস। স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সিপিআইয়ের লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা নার্গিসের স্বামী শেখ সাইজাদের বক্তব্য, ‘‘ওই ওয়ার্ডে ১২ হাজারের বেশি ভোটার। বড় এলাকা। তাই উন্নয়নের জন্য শাসকদলের সঙ্গে থাকলে কাজ করানো যাবে। তাই আমার স্ত্রী সিপিআইয়ের প্রতীকে জিতলেও তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতির সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। বোর্ড গঠনের পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। তারই মধ্যে আজ জানতে পেরেছি নার্গিসকে বহিষ্কার করেছে দল।’’
তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি সুজয় হাজরার বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গী হতে চেয়ে তৃণমূলের আসার জন্য আবেদন করেছেন নার্গিস পারভিন। তা রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। দল সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলে উনি তৃণমূলে যোগদান করাতে পারবেন।’’