ফিতে কাটছেন যুগ্ম বিডিও অনির্বাণ ঘোষ (মাঝে)। নিজস্ব চিত্র
গিয়েছিলেন ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে। সেখানে বিজেপি নেতার পাশে দাঁড়িয়ে গেরুয়া উত্তরীয় পরে বিতর্কে জড়ালেন গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের যুগ্ম-বিডিও অনির্বাণ ঘোষ।
সোমবার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের সাতমা গ্রামের স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগে শুরু হয় দু’দিনের ফুটবল প্রতিযোগিতা। গোপীবল্লভপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সাতমা গ্রাম পঞ্চায়েতটিও বিজেপি-র দখলে। যে ক্লাবের উদ্যোগে এ দিন থেকে গড়গড়িয়া মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তার সভাপতিও হলেন জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ। ফলে অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিল গেরুয়া রঙের ছোঁয়া। এসেছিলেন গোপীবল্লভপুরের যুগ্ম বিডিও অনির্বাণ, গোপীবল্লভপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর সমীর সিংহ মহাপাত্র। তাঁদের গেরুয়া উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এর পরে উদ্যোক্তা ক্লাবের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা অবনীর পাশে দাঁড়িয়ে ফিতে কাটেন যুগ্ম বিডিও।
এই ঘটনার পরই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। একজন সরকারি আধিকারিক কেন গেরুয়া উত্তরীয় পরে কোনও অনুষ্ঠানে শামিল হবেন, প্রশ্ন তুলছে শাসক দল। জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বিরবাহা সরেন বলেন, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রশাসনিক আধিকারিকরা না গেলেই ভাল করতেন। বিজেপি এভাবেই চক্রান্ত করে এখন মানুষজনকে বিভ্রান্ত করছে।’’ বিজেপি নেতা অবনীর ব্যাখ্যা, ‘‘গেরুয়া রং হল ত্যাগের প্রতীক। শুধু গেরুয়া কেন, মঞ্চের সজ্জায় অন্য রংও ছিল। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।’’
কেন গেরুয়া উত্তরীয় পরেছিলেন? যুগ্ন বিডিওর জবাব, ‘‘খেলার উদ্যোক্তারা বিডিও সাহেবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি বিডিও সাহেবের নির্দেশে তাঁর প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছিলাম। এর বেশি কিছু কিছু বলব না।’’ গোপীবল্লভপুর-১- এর বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র বলেন, ‘‘ফুটবল খেলার উদ্যোক্তারা আমন্ত্রণ জানানোয় জয়েন্ট বিডিওকে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে অন্যরকম পরিবেশ দেখে মাঝপথে জয়েন্ট বিডিও অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে এসেছিলেন।’’ একই দাবি পুলিশ কর্তৃপক্ষেরও। যদিও স্থানীয় সূত্রের খবর, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিতেরা। এ দিনের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে মূলত বিজেপি-র জনপ্রতিনিধি এবং বিজেপি-র জেলা ও স্থানীয় নেতারা হাজির ছিলেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বুঝে সেখানে আধিকারিকদের যাওয়া উচিত ছিল।