দুই দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিল পকসো আদালত। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিলেন ঝাড়গ্রাম পকসো আদালতের বিচারক। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ফাগুন মান্ডি ওরফে পুই এবং ভাকু ওরফে রবীন্দ্র রাউতকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ওই মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানা এলাকায় এক নাবালিকা নিখোঁজের পর পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করে পুলিশ। সেই বছরই ৭ নভেম্বর ফাগুন এবং রবীন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফাগুন রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। রবীন্দ্র ছিলেন শ্রমিক। তাঁদের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণের পর ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ আনা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৫, ৩৭৬ ডি বি, ৩০২, ২০১, ৩৪ এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়।
গ্রামেরই একটি জঙ্গলের পাশে নালা থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পকসো আদালতে এই মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। অবশেষে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হলে বুধবার দু’জনকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ফাগুন নামে ওই যুবক। তার পর দু’জনে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করেন। বুধবার এ নিয়ে পকসো কোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শুভাশিস দ্বিবেদী বলেন, ‘‘নাবালিকাকে অপহরণ করে খুন এবং ধর্ষণের মামলায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন পকসো আদালতের বিচারক। ২০২২ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জ গঠন হয়। ওই বছরের ৬ জুন থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। চিকিৎসক, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট-সহ ৩০ জন সাক্ষ্য দেন। এর পর মঙ্গলবার দুই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক।’’