এই জেসিবি দিয়ে মাটি খোঁড়া হচ্ছিল বলে নালিশ। নিজস্ব চিত্র।
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর খননের জন্য জেসিবি মেশিন ব্যবহারের অভিযোগ উঠল এগরার ভাটশালিয়া গ্রামে। খবর পেয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করল ব্লক প্রশাসন।
লকডাউন পরবর্তী পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দিয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ও প্রশাসনের খবর, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে আরবিসি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটশালিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির পুকুর খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী একশো দিনের শ্রমিকরা ওই পুকুরের মাটি কাটার কাজ করবেন। অভিযোগ, শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটানোর বদলে জেসিবি মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছিল।
স্থানীয়দের দাবি, পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় সুপার ভাইজারকে অভিযোগ জানালেও অভিযুক্ত ব্যক্তি কাজ বন্ধ করেননি। তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরাও বিষয়টি গুরুত্ব দেননি বলে দাবি। মঙ্গলবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কেটে তা ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া কাজ চলে। বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, ‘‘শাসকদলের মদতে ওই ব্যক্তি বেআইনি ভাবে জেসিবি মেশিন দিয়ে পুকুর কাটছিলেন। অভিযোগের পরেই ব্লক প্রশাসন কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।’’
বুধবার এগরা-১ ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা গিয়ে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর, বেআইনি ভাবে মেশিন দিয়ে মাটি কাটার খরচ প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে না দেওয়ায় সুপারিশ করেছে ব্লক প্রশাসন। আগামী দিনে একশো দিনের প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়েই পুকুর কাটার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এগরা-১ এর বিডিও বংশীধর ওঝা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করা হয়েছে। মেশিন দিয়ে মাটি কাটার খরচ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প থেকে না দেওয়ায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’