প্রতীকী ছবি।
বিজেপি নেতা পূর্ণচন্দ্র দাস আত্মহত্যা করেছেন। কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে তা স্পষ্ট হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে ওই বিজেপি নেতার শরীরের ভিসেরা সংগ্রহ করে তা ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে পানবরজে বিজেপি বুথ সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল রামনগর থানার পুলিশ। কিছুদিন আগে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে দলীয় বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে সামনে এনে এ ক্ষেত্রেও পূর্ণকে খুন করা হয়েচে বলে অভিযোগ করে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর ওই বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়ছিল। শুক্রবার পূর্ণ চন্দ্রর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেও সেই একই দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বিজেপি নেতার শরীরে একটি তির্যক দাগ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর গলায় তাজা ঘর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তবে শরীরে আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
মৃত বিজেপি নেতার ছেলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায় তার ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই এক মহিলা-সহ তৃণমূলের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের একজন বাদল চন্দ্র দাসকে জেরা করে জানা হিয়েছে, তার এবং মৃত বিজেপি নেতার মধ্যে একটি রাস্তা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ওই রাস্তা দিয়ে বিজেপি নেতার পরিবারের কেউ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছিলেন না। যে কারণে তাঁর উপরে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছিল। এমনকী ওই বিজেপি নেতাকে সালিশি সভায় ডাকা হয়েছিল বলেও তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি পুলিশের। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ)অরবিন্দ কুমার আনন্দ বলেন, ‘‘বিজেপি নেতার মৃত্যুতে কোনও রকম রাজনৈতিক যোগ পাওয়া যায়নি। মৃতের ভিসেরা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিকভাবে তদন্ত চলছে।’’ স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ পারিবারিক ঘটনা। বিজেপি এর সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত করে ঘৃণ্য চক্রান্ত করছে। তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। পুলিশ তদন্ত করলেই সব
জানা যাবে।’’