এই ঘরে যুব তৃণমূলের কার্যালয় খোলা ঘিরেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
পুরসভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যহত। এ বার সেই ঘটনার জেরে তিন দিন ধরে ব্যাহত হল পুর ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার দাবি, ওয়ার্ডে সাফাইয়ের সরঞ্জাম রাখার কাজে ব্যবহৃত পুরসভার একটি অফিস দখল করেছে যুব তৃণমূল। তবে ওয়ার্ডে দলেরই একটি পুরনো কার্যালয় নতুন করে খোলা হয়েছে বলে দাবি যুব তৃণমূলের!
খড়্গপুর পুরসভার ১৬নম্বর মালঞ্চ রোড এলাকার যুব তৃণমূলের ব্যানার লাগানো একটি কার্যালয় ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দিন কয়েক আগেই ওই এলাকার একটি ছোট ভবনে যুব তৃণমূলের কার্যালয় খোলা হয়। বাইরে লাগানো হয় যুব তৃণমূলের ব্যানার। এর পরেই ওই ওয়ার্ডের সাফাইকর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেছে। বিজেপির দখলে থাকা ওই ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধিকে সাফাইকর্মীরা জানান যে, ভবনে যুব তৃণমূলের কার্যালয় খোলা হয়েছে সেখানেই রাখা সাফাইয়ের সরঞ্জাম চুরি হয়েছে। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে। ওয়ার্ডে সাফাইয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় বিজেপি পুর প্রতিনিধি অভিষেক আগরওয়াল পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষকেও জানান। তবে রবিবার পর্যন্ত পরিস্থিতির সমাধান হয়নি। তিনদিন ধরে ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাই না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ওয়ার্ডের নাগরিকরা।
ঘটনায় তৃণমূলের দিকে দায় চাপিয়েছেন স্থানীয় পুর প্রতিনিধি। আবার ওই অফিস পুরসভার নিজস্ব দাবি করে যুব তৃণমূলের উপর দায় চাপিয়েছেন পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ। অথচ পুরসভার কোনও অফিস দখল করে তাদের কার্যালয় খোলা হয়নি বলে দাবি করেছে যুব তৃণমূল। সবমিলিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার সঙ্গে যুব তৃণমূলের সংঘাত একেবারে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ বলেন, “ওয়ার্ডের সাফাইয়ের সরঞ্জাম রাখার জন্য ওই ওয়ার্ডে পুরসভার একটি অফিস ছিল। সেখানে কে বা কারা যুব তৃণমূলের ব্যানার লাগিয়ে ওই অফিসকে যুব তৃণমূলের কার্যালয় বানিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে চুরি হয়েছে সাফাইয়ের সরঞ্জাম। তাই সাফাইকর্মীরা কাজ করতে পারছেন না। আমাদের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর পুলিশে জানিয়েছেন। তবে আমি আলাদা করে ওই সরঞ্জাম দিচ্ছি। সাফাইয়ের কাজ চালু করতে বলেছি।”