হিজলি ইকো পার্কে বনমন্ত্রী।— নিজস্ব চিত্র।
দলমার হাতির হানায় মৃত্যুর হার কমেছে বলে দাবি বন দফতরের। কিন্তু ফসলের ক্ষয়ক্ষতি তো চলছেই। এ বার তাই নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে হাতিদের আটকে রাখতে উদ্যোগী হচ্ছে বন দফতর। শনিবার খড়্গপুরের হিজলি ইকো-পার্কে এসে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “আগে এই জেলার জঙ্গল ছিল হাতির মুক্তাঞ্চল। কিন্তু নগরোন্নয়নের জন্য আমরা ওদের জায়গা দখল করেছি। আমরা ওদের সঙ্গে চলতে পারলে সংঘাত হবে না। বনকর্মী, জনগণের সহযোগিতায় এই সংঘাত বন্ধও হয়েছে।’’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘খাবারের খোঁজে গ্রামে ঢুকে হাতি ফসলের ক্ষতি করছে। তাই হাতিকে একটা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি।”
হিজলি ইকো পার্কে পর্যটকদের জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি একটি কটেজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কটেজের শিলান্যাস করেছিলেন। ৪০ লক্ষ টাকায় ভেষজ উদ্যান, মশলা বাগান, স্মৃতিবন ও জলজ উদ্যানেরও এ দিন শিলান্যাস করেন বনমন্ত্রী।
হাতির সমস্যা সমাধানে শনিবার মেদিনীপুরেও বৈঠক করেন বনমন্ত্রী। সেখানে ফের গুরুত্ব দেওয়া হয় সেই ময়ুরঝর্না প্রকল্পকেই। মন্ত্রী বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি এই প্রকল্প রূপায়ণের। তবে বছর দশেক সময় লাগবে।” ততদিন কি জেলাবাসীকে হাতির সঙ্গে লড়তে হবে? মন্ত্রীর জবাব, “প্রাণহানি আগের থেকে কমেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে হাতির দলকে অভিযান চালিয়ে অন্যত্র পাঠানোর।” বন দফতর শুধু হাতির জন্য মেদিনীপুরে একটি নতুন বিভাগ তৈরি করছে। সেই ওয়াইল্ড লাইফ সাউথ ডিভিসনের অফিস হবে ঝাড়গ্রামে। মন্ত্রীর কথায়, “সারা দেশে এমনটি নেই। আমরা শুধু হাতির জন্য একটি নতুন ডিভিসন করছি।”