উদ্বোধনে বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
নিজস্ব সংস্কৃতি ও সত্ত্বাকে বজায় রেখে একলব্যের আদিবাসী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দিলেন স্বামী সুহিতানন্দ। বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুহিতানন্দের কথায়, “ কয়েক মাসের মধ্যেই ঝাড়গ্রাম একলব্যের আবাসিকদের মধ্যে আত্মশ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়েছে। মাস ছ’য়েক পরে এখানে এসে প্রতিষ্ঠানের সর্বত্র রুচি-শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার স্পষ্ট ছাপ দেখতে পাচ্ছি।”
শনিবার ঝাড়গ্রামের একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের দু’টি ধ্যানমন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুহিতানন্দ। শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদা মা, স্বামী বিবেকানন্দ ও আদিবাসীদের পবিত্র জাহের থানের প্রতিকৃতিতে মালা দেন ও আরতিও করেন। সঙ্গে এসেছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন এবং মিশনের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সন্ন্যাসী ও শিক্ষকরা।
সুহিতানন্দ জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে গত জানুয়ারিতে তাঁরা এই স্কুলের দায়িত্ব নিয়েছেন। মিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে একলব্যের পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও হস্টেল কর্মী সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় আবাসিক এই স্কুলের পরিবেশ বদলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্বামী সুহিতানন্দ-সহ সন্ন্যাসীদের আদিবাসী প্রথায় ধমসা বাজিয়ে সমবেত নৃত্যের মাধ্যমে প্রণাম জানায় আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের সঙ্গে ধমসা বাজান বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ-মিশনের আইন ও গণমাধ্যমের ভারপ্রাপ্ত স্বামী শুভকরানন্দ।