Smuggling

smuggling: গাঁজা পাচারেও ‘এসকর্ট’

পুলিশের নাকায় গাঁজা বাজেয়াপ্ত হতেই জানা গেল, নজর এড়িয়ে গাঁজা পাচারে পথ দেখাতে ব্যবহার হচ্ছে ‘এসকর্ট ভ্যান’!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১ ০৭:১০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ওড়িশা হয়ে রাজ্যে ঢুকছে গাঁজা। পুলিশের হাতে পাকড়াও হচ্ছে ছোট কারবারিরা। তবে নজর এড়িয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ গাঁজা। এ বার পুলিশের নাকায় গাঁজা বাজেয়াপ্ত হতেই জানা গেল, নজর এড়িয়ে গাঁজা পাচারে পথ দেখাতে ব্যবহার হচ্ছে ‘এসকর্ট ভ্যান’!

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণের লছমাপুরের কাছে ৬ নম্বর মুম্বই-কলকাতা জাতীয় সড়কে নাকায় প্রায় ১ কুইন্টাল গাঁজা সমেত ধরা পড়ে তিনজন। কলকাতার সাউথ পোর্টের সন্দীপ সাউ, পিন্টুকুমার সাউ ও একবালপুরের আনন্দকুমার সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাদক আইনে মামলা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে দু’টি গাড়ি। শুক্রবার ধৃতদের মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করালে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। পুলিশ জেনেছে, জলেশ্বর থেকে ওই গাঁজা কলকাতায় যাচ্ছিল। যাত্রাপথে ছিল ‘এসকর্ট ভ্যান’।

বৃহস্পতিবার রাতে গাঁজা পাচারের সময় পুলিশের নজরদারি এড়াতে গাঁজা বোঝাই গাড়ির আগে ছিল একটি গাড়ি। তার কাজ ছিল কোথায় টহলদারি চলছে তা পিছনের গাড়িকে জানানো। লছমাপুরের কাছে নাকা দেখেই সামনে থাকা গাড়িটি দ্রুত এগিয়ে যায়। সন্দেহ হয় পুলিশের। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার ওসি আসিফ সানির নেতৃত্বে মাদপুরের কাছে গাড়িটি পাকড়াও করা হয়। দুই যাত্রীকে জেরা করে পিছনে থাকা গাঁজা বোঝাই গাড়ির কথা জানা যায়। সামনের গাড়ির চালক ও সওয়ারির ফোন বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পিছনের গাড়িটি আসতেই পুলিশ আটক করে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ বার আমরা কড়াভাবে নাকা করছি সর্বত্র। এতেই এই সাফল্য এসেছে। হয়তো এভাবে এসকর্ট ভ্যান ব্যবহার হয় বলেই আমাদের নজর এড়িয়ে যায়।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement