মৃত বাঘরোল। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সড়কের উপরে উদ্ধার হল বাঘরোলের মৃতদেহ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নন্দকুমারের বহিচবেড়িয়া গ্রামে শনিবার সকালে তমলুক শহর থেকে ময়নাগামী রাজ্য সড়কের উপর ওই বাঘরোলের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়েরা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা সেখানে ভিড় জমান। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এলাকায় রাজ্য সড়কের দু’পাশেই মাছের ভেড়ি রয়েছে। ভেড়িতে মাছ খাওয়ার জন্য ওই এলাকায় বাঘরোল ঘুরে বেড়ায়। এভাবে ঘুরে বেড়ানোর সময় গভীর রাতে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় ওই বাঘরোলের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়দের অনুমান।
বহিচবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অসিত সাহু বলেন, ‘‘শনিবার সকালে তমলুকে যাওয়ার সময় রাস্তায় ওই বাঘরোলটি মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। তার মুখের কাছে আঘাতের চিহ্ন এবং রক্ত ছিল। গভীর রাতে ময়নার দিক থেকে মাছ বোঝাই প্রচুর লরি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। সেই সব গাড়ির ধাক্কায় বাঘরোলটির মৃত্যু হয়েছে বলেই অনুমান। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’
এ দিকে অভিযোগ উঠেছে, গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর না দিয়েই মৃতদেহটি ঝোপে ফেলে দেন। এ ব্যাপারে বহিচবেড়িয়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য সুধাংশশেখর সামন্ত বলেন, ‘‘রাস্তার পাশে বাঘরোলের মৃতদেহ পড়ে থাকার ঘটনার বিষয়ে বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন। পরে মৃতদেহটি গ্রামের বাসিন্দারা ঝোপে ফেলে দিয়েছেন।
এই বিষয়ে প্রশাসনের কাউকে জানানোও হয়নি।’’ নন্দকুমার থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাঘরোলের মৃতদেহ পড়ে থাকার বিষয়ে তাদের কাছে কেউ কিছু জানাননি। জেলা বন দফতরের আধিকারিক স্বাগতা দাসকে এ নিয়ে মতামত জানতে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি।