Health Administration

বৈঠকে স্বাস্থ্যকর্তারা, বাইরে বিক্ষোভ

চিকিৎসকেরা দুই স্বাস্থ্যকর্তাকে জানিয়েছেন, করোনার তথ্য ঠিকমতো প্রকাশ করা হচ্ছে না। রোগীদের রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। এখনও সরকারি তালিকায় মৃত দু’জন। অথচ সংখ্যাটা বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভের মধ্যেই বেরিয়ে আসছেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষোভের আঁচ টের পেলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দুই প্রতিনিধি। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের সুপারের ঘরে দুই স্বাস্থ্যকর্তার বৈঠক চলাকালীন বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য-কর্মীরা। জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠল।গত শুক্রবার এক যুবকের মৃত্যুর পরে রাতেই তাঁর পরিজনদের হাতে নিগৃহীত হন করোনা হাসপাতালের কর্মী সম্বিত ঘোষ। শনিবার সকালে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক অর্ণাশিস হোতাকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিজনের বিরুদ্ধে। ধর্নায় বসেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপরই এ দিন ঝাড়গ্রামে আসেন রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বিশেষ আধিকারিক অসীম দাস মালাকার ও রাজ্যে করোনা হাসপাতালের বিশেষ পরিদর্শক কৌশিক চাকী। হাসপাতাল সুপারের ঘরে সিএমওএইচ প্রকাশ মৃধা, ডেপুটি সিএমওএইচ-১ শান্তনু সাহু, হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল সরকারকে নিয়ে বৈঠক করেন তাঁরা। তখনই বাইরে চলে বিক্ষোভ। পরে জনা তিরিশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভিযোগও শোনেন দুই স্বাস্থ্যকর্তা।

Advertisement

চিকিৎসকেরা দুই স্বাস্থ্যকর্তাকে জানিয়েছেন, করোনার তথ্য ঠিকমতো প্রকাশ করা হচ্ছে না। রোগীদের রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। এখনও সরকারি তালিকায় মৃত দু’জন। অথচ সংখ্যাটা বেশি। সরকারি তালিকায় নাম না উঠলে মৃতের পরিজনেরা ক্ষতিপূরণে বঞ্চিত হবেন। করোনা হাসপাতালে পরিকাঠামোর ঘাটতিতেও সমস্যা হচ্ছে। করোনা-কালে হাসপাতালের চিকিৎসকদের ‘পারফরম্যান্স’ নিয়ে অভিযোগ তুলে সিএমওএইচ যে শো-কজ় করেছিলেন, সে প্রসঙ্গও তোলা হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে হাসপাতাল সুপার জানান, তাঁকে আইসিএমআর-এর অ্যাপের পাসওয়ার্ড জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে দেওয়া হয়নি। তাই হাসপাতালের কাছে করোনার তথ্য থাকছে না। আর পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠকে দুই স্বাস্থ্যকর্তা জানান, সব কিছু একসঙ্গে করা সম্ভব নয়।

পরে পিপিই পরে করোনা হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় কৌশিক চাকী দেখেন— শয্যার পাশে কলিং বেল, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশ্রাম কক্ষ, লিফট নেই। নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম। পরে জেলা কালেক্টোরেটে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যকর্তারা। সংবাদমাধ্যমকে অসীম বলেন, ‘‘করোনা হাসপাতাল নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। মৃত্যুর তথ্য রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে আপলোড করে দেওয়া হবে। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement