টাউনশিপ এলাকায় পরিষ্কার করা হচ্ছে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র
পুজো মিটেছিল সুষ্ঠুভাবে। শিল্প শহর হলদিয়ায় শুক্রবার, দশমীর দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্বও মিটল সেই একই ভাবে। তবে বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যথেচ্ছ পলিথিন এবং থার্মোকল ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে।
শুক্রবার রাতে এই টাউনশিপের একাধিক ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছিল। পুরসভার তরফে অবশ্য এবার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে নদী ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন থেকে কাঠামো সাফাই— সব কিছুরই দায়িত্ব নিয়েছিল পুরসভা। তবে এর পরেও শুক্রবার রাতে হলদিয়ার টাউনশিপের নদী ঘাটগুলিতে পলিথিন এবং থার্মোকল যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, নদী ঘাটে ঠাকুর নামিয়ে জলে ফেলার জন্য ১০০ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। তাছাড়া, বড় প্রতিমা নামানোর জন্য ‘হাইড্রা’র সাহায্য নেওয়া হয়। শুক্রবার নদী ঘাটগুলিতে সন্ধ্যা থেকেই প্রচুর দর্শনার্থী ভিড় করেছিলেম। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা এবং পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী ছোট বড় মিলিয়ে ৩৫টি প্রতিমা বিসর্জন হয় শুক্রবার। তার মধ্যে টাউনশিপে নিরঞ্জন হয়েছে ১৯টি।
দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে আসা দূরদুরান্তের লোকেদের অনেকেই নদী ঘাটে বসেই রাতের খাবার খান। অভিযোগ, তাঁদের ব্যবহার করা থার্মোকলের পাতা এবং পলিথিনের প্যাকেট ঘাটগুলিতে যত্রপত্র পড়ে ছিল। দূষণের আশঙ্কায় অবশ্য তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেয় হলদিয়া পুরসভা। শনিবার সকাল থেকেই টাউনশিপের ঘাটগুলিতে সাফাই অভিযানে নামেন পুরকর্মীরা। এদিন কনজারভেন্সি দল এবং জনা চল্লিশেক স্থানীয় যুবককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ঘাট সাফাই করার।
স্থানীয় কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রতিমা নিরঞ্জনের পর নদী ঘাটে সাময়িক আবর্জনা জমে গিয়েছিল। পরে পুরসভার তদারকিতে এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে।’’ এ ব্যাপারে হলদিয়া পুরসভার পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) আজিজুল রহমান বলেন, ‘‘পুজোর কয়েকটা দিন যেমন নির্বিঘ্নে কেটেছিল, তেমন ভাবেই প্রতিমা নিরঞ্জন সারতে চেয়েছিলাম। সুষ্ঠুভাবে সব কিছু হওয়ায় আমরা খুশি।’’