C V Ananda Bose at Contai

অধিকারীদের পুজোয় বোস, জেলায় থেকেও নেই শুভেন্দু

রাজভবন থেকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর জন্য স্মারক উপহার হিসাবে আনা হয়েছিল। রাজ্যপাল সেটি মঞ্চে শিশিরের হাতে নিজেই তুলে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:১৬
Share:

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ও প্রাক্তন সাংসদ শিশির অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।

ভাইয়ের পুজোর উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির। যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জে’। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে যেন এড়িয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর রাজ্যপালকেও নিজের বক্তব্যে একটি বারের জন্য বিরোধী দলনেতার নাম নিতে শোনা যায়নি। এতেই রাজনৈতিক মহলে রাজ্যপাল এবং শুভেন্দুর ‘অম্ল-মধুর’ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে কাঁথিতে ‘ক্লাব নান্দনিকে’র পুজোর উদ্বোধন হয়। ওই ক্লাবের সভাপতি শুভেন্দু নিজে। আর সম্পাদক তাঁর ছোট ভাই তথা সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এসেছিলেন। রাজ্যপালের সঙ্গে উদ্বোধন মঞ্চে এবং মণ্ডপের দ্বারোদঘাটনে ছিলেন শুভেন্দুর বাবা শিশিরী অধিকারী এবং আরেক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে অনুষ্ঠানে শুভেন্দুকে দেখা যায়নি। যখন রাজ্যপাল তাঁর নিজের শহরে এসেছেন, তখন কাঁথি থেকে ৮৬ কিলোমিটার দূরে কোলাঘাটে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

রাজভবন থেকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর জন্য স্মারক উপহার হিসাবে আনা হয়েছিল। রাজ্যপাল সেটি মঞ্চে শিশিরের হাতে নিজেই তুলে দেন। রাজ্যপালের তরফে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করে শোনান তাঁর প্রতিনিধি। সেখানেও শিশিরের প্রশংসা করেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তৃতায় মেদিনীপুরের স্বাধীনতা আন্দোলনের নানা ঘটনা উঠে আসে। সেখানেও শুভেন্দুর দাদু তথা শিশির অধিকারীর বাবা বিপিন অধিকারীর নাম উচ্চারণ করেন। তবে শুভেন্দুর নাম নেননি একবারও। রাজ্যের দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘মাকে সাক্ষী রেখে শপথ গ্রহণ করি যে, ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। মা দুর্গা যেমন মহিষাসুরকে, মা কালী যেমন রক্তবীজকে বধ করেছিলেন, আমরাও ভ্রষ্টাচারকে শেষ করব। যেমন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বকরাসুরকে বধ করেছিলেন, আমরাও তেমন হিংসাকে শেষ করব।’’

Advertisement

কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জে’ রাজ্যপালের যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। তবে অনুষ্ঠানের শেষে তিনি ওই বাড়িতে পা না রেখে সড়ক পথে কলকাতা ফিরে যান। অধিকারী পারিবার সূত্রের খবর, শিশিরের সঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সম্পর্ক ভাল। রাজ্যপালের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন শিশির এবং দিব্যেন্দু। পরে শুভেন্দুর অসুস্থ মাকে দেখতে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তবে, পূর্বতন রাজ্যপাল জয়দীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিরোধী দল নেতার যে সম্পর্ক ছিল, সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তা কিছুটা কম বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সাম্প্রতিক কালে শুভেন্দু রাজভবনে কয়েকবার গিয়েছেন। তবে এদিন জেলায় থেকেও নিজের ক্লাবের পুজোয় রাজ্যপালের সঙ্গে কেন তিনি থাকলেন না, তা নিয়ে চর্চা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিশির বলেন, ‘‘শুভেন্দু আলাদা কর্মসূচিতে ছিলেন। তাই রাজ্যপালের সঙ্গে থাকতে পারেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement