শহরের রাস্তায় ভারী পণ্যবাহী যান চলাচল একেবারে নিষিদ্ধ করল ঘাটাল পুরসভা। সোমবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকরী করতে নজরদারি শুরু হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার আবেদনে সাড়া দিয়ে টহল শুরু করছে থানা। পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ বলেন, “পুরসভার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে ঘাটাল থানাকে জানানো হয়েছে। কোনও গাড়ির মালিক ও চালক এই নির্দেশ অমান্য করলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ হবে।”
বহুদিন ধরেই শহরের ভিতরের ছোট-বড় একাধিক রাস্তায় ইমারতি দ্রব্য-সহ নানা মালপত্র নিয়ে ১০-১২ চাকার লরি বা ট্রাক ঢুকছে। এর ফলে একদিকে যেমন যানজটে নাকাল শহর, তেমনই খারাপ হচ্ছে রাস্তার হাল। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানাচ্ছিলেন পাড়ার রাস্তায় এ ভাবে ভারী পণ্যবাহী ঢুকে রাস্তা খারাপ করছে। এক বছর বা তারও কম সময় আগে তৈরি হওয়া একাধিক রাস্তা খানাখন্দে ভরে উঠেছে। বর্ষার জলে ভর্তি হয়ে রাস্তা আরও বেহাল। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি ওই সব রাস্তার এই করুণ অবস্থা দেখেও সংস্কার করেনি পুরসভা। এমনকী বার বার পুরসভার কাছে ওই ধরনের গাড়ি ঢোকা বন্ধ করতেও আর্জি জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। কর্তৃপক্ষ এতদিন সেই আবেদনকে কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ তাঁদের।
শহরের রাইমনি রোড, আড়াগোড়-শুকচন্দ্রপুর, চাউলি, কোন্নগর, ফাঁড়িগোড়া-সহ প্রায় কুড়ি-বাইশটি রাস্তায় বড় বড় গর্তও তৈরি হয়েছে। হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সূত্রের খবর, ইদানীং ‘হাউসিং ফর অল’ প্রকল্পে ঘাটাল শহরেই ৮৩০টি বাড়ি তৈরি শুরু হয়েছে। উপভোক্তরা খরচ কমাতে বাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ইমারতি দ্রব্য এক সঙ্গে লরি বা ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে প্রতিদিনই শহরের রাস্তায় রাস্তায় যানজট। রাস্তার ধারে ইমারতি সামগ্রীর দখলদারি। ছোট গাড়ি করে এগুলি নিয়ে গেলেই কোনও সমস্যা থাকে না। কিন্তু তেমনটা হচ্ছে কই?
বিভাস ঘোষ বলেন, “উপভোক্তারা কী ভাবে মালপত্র নিয়ে যাবে তা দেখার দায়িত্ব পুরসভার নয়। তবে আমরা শহরের রাস্তায় ইমারিত দ্রব্য ফেলে রাখতে দেব না। অলিতে-গলিতে লরিও ঢুকবে না।’’ তাঁর দাবি, ট্রান্সপোর্ট মালিকদেরও সতর্ক করেছে পুরসভা, শহরের ভিতরের রাস্তায় বড়, ভারী পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে ছোট ছোট গাড়িতে পরিবহণ করা যেতেই পারে।