টুটুহা জঙ্গলে বৈঠক করছেন প্রাক্তন মাওবাদীরা। নিজস্ব চিত্র।
সেই জঙ্গলে জটলা। সেই গোপন বৈঠক। সেই পুরনো কায়দা!
আত্মসমর্পণ করেও চাকরি না পাওয়া প্রাক্তন মাওবাদী ও লিঙ্কম্যানদের একটা দল রবিবার বৈঠক করেছেন ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি সংলগ্ন টুটুহার গভীর জঙ্গলে। জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার প্রাক্তন মাওবাদীরাই সেখানে ছিলেন। ছিলেন কিষেনজির ছায়াসঙ্গী থেকে শুরু করে জয়ন্ত, শশধর মাহাতোর স্কোয়াডের সদস্যরা। খুন, অস্ত্র আইন-সহ নানা মামলায় এঁরা সকলে জেল খেটেছেন। এই মুহূর্তে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফেরাতে চাকরির প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু কোনও দিন জেল খাটেনি এমন লোকও সেই সুবিধা পেয়েছে। অথচ তাঁরা সব কাগজপত্র থানায় ও ডিআইবিতে জমা দিয়েও কিচ্ছুটি পাননি। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে আগেও এমন বৈঠক করেছেন ‘বঞ্চিত প্রাক্তন মাওবাদী’রা।
বৈঠকে হাজির তপন মাহাতো, রঞ্জিত শীটরা নিজেদের জয়ন্ত স্কোয়াডের প্রাক্তন সদস্য বলে দাবি করেন। তাঁরা বলেন, ‘‘সরকারি প্যাকেজ অনুযায়ী চাকরি না পেলে আমাদের এই বার্তা জঙ্গলমহলের দিকে দিকে ছড়িয়ে দেব।’’ ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ অবশ্য বলছেন, ‘‘ওঁরা সরকারি নির্দেশিকার আওতায় পড়ছে না। তাহলে কী করে চাকরি পাবেন?’’ তাঁর দাবি, এই নির্দেশিকার আওতায় যাঁরা পড়েন, তাঁদের সকলের চাকরি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, জেলায় মাওবাদী হানায় নিহত পরিবারের সদস্য ও আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী মিলিয়ে মোট ১০৪৬ জন চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে মাওবাদী হানায় নিহতের পরিজন রয়েছেন ৩৫০ জন। বাকি ৬৯৬ জন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা চাকরি পেয়েছেন।