এই ফাঁকা মাঠেই মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ এবং ওই ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে দিন কয়েক আগই কোলাঘাটে পুলশিটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওই ঘটনা ছ’জন অভিযুক্তের পাঁচ জন গ্রেফতার হলেও এখনও পলাতক এক জন। রেশও কাটেনি ঘটনার। এর মধ্যেই শিল্প শহর হলদিয়ায় আরও একটি গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছে চার অভিযুক্ত।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৩১ অগস্ট রাত ১১টা নাগাদ স্থানীয় এক মহিলা হলদিয়ার এইচপিএল লিঙ্ক রোড ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। ওই মহিলার অভিযোগ, ওই সময় চার যুবক তাঁর উপরে হামলা চালায়। তাঁকে লিঙ্ক রোড থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এইচএফ সি’র পুকুরপাড় সংলগ্ন ঝোপের ধারে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল যথেষ্ট নির্জন এবং ফাঁকা। মহিলার আরও দাবি, তাঁর সাইকেল, মোবাইল এবং কয়েক হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
নির্যাতিতাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে দুর্গাচক থানার টহলরত পুলিশ। পরে ওই মহিলা চার জনের বিরুদ্ধে থানায় গণধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ রবিবার আকবর আলি, সায়ন দাস, তাজউদ্দিন বৈদ্য এবং রঞ্জন পাত্র নামে চারজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা হলদিয়ার বাসুদেবপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবারই ধৃতদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মহিলার খোওয়া যাওয়া জিনিসপত্র এবং নগদ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ধৃত চার যুবক জেরায় গণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশকে তারা জানিয়েছে, টাকার বিনিময়ে ওই মহিলার সঙ্গে তাদের শারীরিক সম্পর্কের কথা ঠিক হয়েছিল। পরে টাকার পরিমাণ নিয়ে বচসা হয়, তারপরেই মহিলা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ধৃতদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা একটা গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। তাতে চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’