পাঁশকুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চিত্তবাবু। নিজস্ব চিত্র।
দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন জমার আগের দিন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল পাঁশকুড়া। তৃণমূলের মিছিল থেকে বিজেপির নেতা আনিসুরের উপর আক্রমণের অভিযোগ ঘিরে ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুরবান শাহ। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে রবিবার রাতেই আনিসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার দুপুরে দলের প্রার্থীদের নিয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়নত্র জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন পাঁশকুড়ার প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দাশঠাকুর-সহ দলের ১৫ জন নেতা-কর্মী। পাঁশকুড়া বিডিও অফিসের কয়েকশো মিটার দূরে তাঁর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চিত্তরঞ্জনবাবু ছাড়াও দলের রাজ্য কমিটির সদস্য নির্মল বেরা, জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত জানা, নারায়ণ বেরা, সুকুমার সামন্ত, ঝুমা কিস্কু-সহ ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
দল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ চিত্তরঞ্জনবাবু, নির্মল বেরার নেতৃত্বে দলীয় প্রার্থী-সহ কর্মীরা পাঁশকুড়া পুরাতন বাজার থেকে মিছিল করে তমলুক–পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক ধরে বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, বিডিও অফিসের কয়েক’শ মিটার আগে ডাকঘরের সামনে মিছিল পৌঁছলে বিডিও অফিসের দিক থেকে তৃণমূলের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে চিত্তরঞ্জনবাবুদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চিত্তরঞ্জনবাবুর বাঁ পায়ে লাঠি দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে দলের শাখা সম্পাদক অশোক ভুঁইয়ার মাথা ফেটে যায়। মারের চোটে শিক্ষক সংগঠনের নেতা গুরুপদ কুর্তিরও পা ভেঙেছে বলে অভিযোগ। চিত্তরঞ্জনবাবু-সহ আহতদের পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
চিত্তরঞ্জনবাবুর অভিযোগ, ‘‘মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আগাম আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এদিন বিডিও অফিসের সামনেই তৃণমূলের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ চীলীয়। আমরা আক্রান্ত হওয়ার পরেও পুলিশের দেখা মেলেনি।’’
তৃণমূল নেতা তথা পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্র অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রাক্তন বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত বলে বিশ্বাস করি না। তবু খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’