Forest Rangers Faced Agitation

রেঞ্জারকে ঘিরে বিক্ষোভ চাষিদের

হাতির দলের এই আসা-যাওয়ার পথে তছনছ হয় আলু খেত। এমনিতেই অসময়ের বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় আলু চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করছিলেন চাষিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গড়বেতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৩
Share:

সোমবার গড়বেতার ধাদিকা বিট অফিসে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে আলোচনায় বন দফতর। নিজস্ব চিত্র।

হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত আলুর খেত দেখতে এসে ক্ষুব্ধ চাষিদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন রেঞ্জার-সহ বনকর্মীরা। সোমবার দুপুরে গড়বেতার ধাদিকা অঞ্চলের কেষ্টপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা আলু খেতে ঘেরাও হয়ে থাকেন তাঁরা। পরে ক্ষুব্ধ আলু চাষিদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে ছাড়া পান গড়বেতা বনাঞ্চলের রেঞ্জার খুরশিদ আলম, ধাদিকার বিট অফিসার সওকত খান-সহ বনকর্মীরা।

Advertisement

এ দিন সকালে এলাকার চাষিরা বন দফতরের ধাদিকা বিট অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান। রবিবারও তাঁরা এই অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বাঁকুড়া জেলা থেকে ২০-২২টি হাতির একটি দল গত সপ্তাহেই গড়বেতার দিকে আসে। দলটি আমলাগোড়া হয়ে গোয়ালতোড়ের দিকে গিয়ে, ফের গড়বেতার দিকে চলে আসে। হাতির দলের এই আসা-যাওয়ার পথে তছনছ হয় আলু খেত। এমনিতেই অসময়ের বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় আলু চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করছিলেন চাষিরা। এমন আবহে হাতির হানায় আলু খেত তছনছ হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে গড়বেতার ধাদিকা, আগরা অঞ্চলের অনেক চাষি।

চাষিদের অভিযোগ, কেবল ধাদিকা অঞ্চলেই প্রায় ১০০ বিঘা আলু খেত নষ্ট করেছে হাতির দল। বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময় একই পথে হাতির দলের বারবার যাতায়াতে ধান, আলু, আনাজ চাষে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে থাকে বলে এলাকার চাষিদের অভিযোগ। ক্ষতিপূরণ ও হাতি যাতায়াতের বিকল্প রাস্তার দাবিতে রবিবারই এলাকার বাসিন্দারা ধাদিকা বিট অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, করেছিলেন রাস্তা অবরোধও। সোমবার সকাল থেকে সেই বিক্ষোভ আরও বাড়ে। এ দিন বিক্ষোভকারী চাষিদের সঙ্গে ধাদিকা বিট অফিসে আলোচনায় বসে বন দফতর। জানা গিয়েছে, ঘণ্টাখানেকের সেই আলোচনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষের ক্ষতিপূরণ ও হাতি যাতায়াতে একই রাস্তার বদলে বিকল্প অন্য কোনও রাস্তার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও চাষিরা।

Advertisement

চাষিরা হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত আলু খেত পরিদর্শনের জন্য বনকর্তাদের কাছে আবেদন করেন। তারপরই গড়বেতার রেঞ্জার, ধাদিকার বিট অফিসার-সহ বনকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত আলু খেত পরিদর্শন করতে ধাদিকার নরহরিপুর, কেষ্টপুর প্রভৃতি এলাকায় যান।ক্ষুব্ধ চাষিরা আলু খেতেই ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর দ্রুত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে মুক্ত হন রেঞ্জার, বিট অফিসার-সহ বনকর্মীরা। এ বিষয়ে গড়বেতা বনাঞ্চলের রেঞ্জার খুরশিদ আলম কিছু বলতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement