সংগ্রহ করা হচ্ছে নমুনা। নিজস্ব চিত্র
অগ্নিদগ্ধ জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করল পুলিশ। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সমাজ মাধ্যমে ওই মৃতদেহ দু’টির বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য আপলোড করে তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে হলদিয়ার ঝিকুরখালিতে হলদি নদীর পাড় থেকে দু’টি অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেখানে যান জেলার পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং ডিআইজি পশ্চিমাঞ্চল ভি সলোমন নেসাকুমার। বিকেল ৪টা নাগাদ ঝিকুলখালিতে পৌঁছয় দুই সদস্যের ফরেন্সিক দল। এছাড়া, পরে দেবাশিস সাহার নেতৃত্বে আরও এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থলে যান। ওই এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা দুর্গাচক থানা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেন। আপাতত এলাকা জুড়ে রয়েছে পুলিশের টহলদারি।
পুলিশের মতোই ফরেন্সিক দলেরও প্রাথমিক অনুমান, পেট্রল ঢেলে দেহ দু’টি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। সকালবেলা যে সময়ে বাসিন্দারা দেহদু’টি জ্বলতে দেখেছিলেন, আনুমানিক তার ঘণ্টা দেড়েক আগেই পোড়ানো শুরু হয়েছিল। নদীর তীরে সেই সময় মৃদু হাওয়া বইছিল। ফলে দেহ দু’টি সম্পূর্ণভাবে পোড়েনি। এতে কিছুটা শাপে বর হয়েছে তদন্তকারীদের। দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত করতে সুবিধা হবে তাদের। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়া গেলেই তদন্তের কাজে আরও অগ্রগতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ দু’টি মহিলার। তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মৃতহের চুলের রং, আনুমানিক বয়সের মতো খুঁটিনাটি তথ্যগুলি সমাজ মাধ্যমে আপলোড করে পরিচয় জানার চেষ্টা হবে।
জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃতদেহের পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে আপলোড করার পরিকল্পনা হচ্ছে।’’ দুষ্কৃতীদের সন্ধান পেতে হলদিয়া মহকুমার প্রতিটি প্রবেশপথের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পেট্রল পাম্পগুলিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি, সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজও দেখা হচ্ছে। তা থেকে সন্দেহজনক গাড়ি বা ব্যক্তির চিহ্নিতকরণের কাজ করছে পুলিশ। জেলার বিভিন্ন হোটেলের রেজিস্ট্রার ধরেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও।