শুভেন্দু অধিকারীর ছবি গলায় নিয়ে। দাঁতনে। নিজস্ব চিত্র
‘আমি দাদার অনুগামী’ লেখা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি গলায় ঝুলিয়ে শিক্ষকদের সংবর্ধনা দিলেন দাঁতনের বেশ কয়েকজন যুবক। শনিবার, শিক্ষক দিবসের সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান শিক্ষকদের বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁরা। সব মিলিয়ে জনা কুড়ির ওই দলটি দাঁতনের মোট ১৫জন শিক্ষককে সংবর্ধনা দিয়েছেন। পেন, ফুলের তোড়া, মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে সম্মান জানানো হয় শিক্ষকদের।
এই কর্মসূচির উদ্যোক্তারা যুব তৃণমূলের কর্মী হিসেবেই পরিচিত। তাঁদের অন্যতম রুদ্রাংশু বেরা বলেন, ‘‘যুব সংগঠনের অনেকেই এই কর্মসূচিতে ছিলাম। তবে শুভেন্দু দা-র অনুগামী হিসেবেই এ দিনের কর্মসূচি করেছি।’’ এ দিন সংবর্ধনা পাওয়া দাঁতন বীণাপাণি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুধাংশুশেখর দাস বলেন, ‘‘বহু বছর শিক্ষকতা করেছি। তবু আমাদের মনে রাখার লোক কমে আসছে। এঁরা যে শিক্ষক হিসেবে মনে রেখেছেন, এটাই গর্বের। বৃদ্ধ বয়সে ভাল লাগছে।’’
‘বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা সমিতি’-র তরফেও শনিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রিত শিক্ষকদের মাস্ক, গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। সে সব পরেই অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে হয়েছে। দূরত্ব মেনে নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়েছে। প্রায় একশোজন শিক্ষককে সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানস্থল এবং প্রবেশের মুখে স্যানিটাইজ়েশনের ব্যবস্থা ছিল।
সম্প্রতি গড়ে ওঠা এই সমিতির সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি জেলার কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ। পেশায় তিনি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। তৃণমূলের অন্দরে রমাপ্রসাদ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলেই পরিচিত। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন কর্মসূচি সংগঠিত করতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুর অনুগামীদের। দুঃস্থ-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা থেকে শুরু করে রাখিবন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা, স্বাধীনতা দিবসের দিনে আদিবাসী, লোধা-শবর মানুষদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছনো প্রভৃতি কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। অনেকে মনে করছেন, সামাজিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রয়াস থেকেই এদিনের এই কর্মসূচির আয়োজন করেছেন শুভেন্দুর অনুগামীরা। রমাপ্রসাদ অবশ্য বলেন, ‘‘আমি গত কয়েক বছর ধরেই শিক্ষক দিবস পালন করে আসছি। কখনও দলের জেলা যুব সভাপতি হিসেবে, কখনও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে দিনটি পালনে কর্মসূচি করেছি। এ বার সমিতির তরফে কর্মসূচি করলাম।’’