জালে ধরা পড়েছে বিশাল আকারের ১২১টি তেলিয়া ভোলা। নিজস্ব চিত্র।
ভাগ্যের সন্ধানে রাস্তাঘাটে প্রায়শই নজরে আসে লটারির দোকান। তবে প্রকৃতির বদান্যতায় যে কেউ রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উঠতে পারেন, তা বোধহয় দিঘা মোহনার মাছের বাজারে না গেলে বোঝা মুশকিল। শনিবার এমনই এক মৎস্যজীবী রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন শুধুমাত্র তেলিয়া ভোলার সৌজন্যে। প্রমাণ সাইজের প্রায় ১২১টি তেলিয়া ভোলা ধরা পড়েছে মা বিশ্বেশ্বরী ট্রলারে, নিলামে যার বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা ছাড়াবে বলেই আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। এই মুহূর্তে মাছগুলি নিলামে বিক্রির চেষ্টা চলছে বলে খবর।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ তৈরির জন্য তেলিয়া ভোলার পটকা খুবই উপযোগী। মাছের ওজন যত বেশি, দামও ততই বেশি। আর সে কারণেই তেলিয়া ভোলা মাছ বরাবরই মৎস্যজীবীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এমনিতেই বর্ষার মরশুমে ইলিশের আকাল এবং অত্যধিক মাছ শিকারের ফলে সমুদ্রে মাছের আমদানি খুবই কম। তার মাঝে কখনওসখনও এই তেলিয়া ভোলাই ফিরিয়ে দেয় মৎস্যজীবীদের ভাগ্য। গভীর সমুদ্রে দলবদ্ধ ভাবে ঘোরাফেরা করে এই মাছ। তাই ভাগ্যদেবী প্রসন্ন না হলে এ ধরনের মাছের দেখা সাধারণত মেলে না।
দিঘা মোহনার মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মা বিশ্বেশ্বরী ট্রলার ১২১টি তেলিয়া ভোলা নিয়ে মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে হাজির হয়েছে। যার প্রতিটির ওজন প্রায় ১৭ থেকে ১৮ কেজি। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী গিরিশচন্দ্র রাউত বলেন, “এ বছরের শুরুতেই তেলিয়া ভোলার ঝাঁক ধরা পড়ার খবরে স্বভাবতই খুশি মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এর আগে এমন আকারের তেলিয়া ভোলা ১২ থেকে ১৩ হাজারে বিক্রি হয়েছে। এ বারও নিলামে ভালই দাম উঠবে বলেই আশা করছি।”
তাঁর কথায়, “বহু ব্যবসায়ী যেখানে লোকসানের ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন এমন একটি খবরে কিছুটা খুশির হাওয়া দেখা দিয়েছে।” তিনি জানান, গত অক্টোবর এবং নভেম্বরেও দুই ব্যবসায়ীর ট্রলারে তেলিয়া ভোলা উঠেছিল, যা তাঁদের রাতারাতি কোটিপতি করে দিয়েছিল। আবারও সেই বিশাল আকারের ভোলা মাছ জালে পড়ায় বেজায় খুশি মৎস্যজীবীরা।