আপনি যদি সম্প্রতিও ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠেন, তবুও মাস্ক পরা কিন্তু বাধ্যতামূলক। ছবি সংগৃহীত
ওমিক্রনে সংক্রমিতদের দুই-তৃতীয়াংশের আগেও কোভিড সংক্রমণ হয়েছিল। ইংল্যান্ডের করোনাভাইরাস বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিঅ্যাক্ট-এর গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। যুক্তরাজ্যের ২০ লক্ষের বেশি মানুষকে নিয়ে এই গবেযণা চালানো হয়।
এই সমীক্ষার উপর বিবিসি-র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বেশির ভাগ পুনঃসংক্রমণ ঘটেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। এমন পরিবার যেখানে শিশু রয়েছে বা একই ছাদের নীচে অনেক লোক বসবাস করেন সেখানেও ব্যাপক পুনঃসংক্রমণ ঘটেছে।
রিঅ্যাক্ট-এর গবেষণা অনুসারে, কোভিডের দ্বিতীয় স্ফীতিতে সংক্রমিত হয়েছেন এমন অনেকই আবারও আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এর আগেও পুনরায় সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তাঁদের মতে, আপনি করোনার কোন রূপে আক্রান্ত হচ্ছেন তার থেকেও বেশি উদ্বেগের আপনি পুনঃসংক্রমিত হচ্ছেন কি না। আপনি যদি সম্প্রতিও ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠেন, তবুও মাস্ক পরা কিন্তু বাধ্যতামূলক। কারণ এই রূপের ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।
প্রতীকী ছবি
অন্য দিকে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে, ওমিক্রনে সংক্রমিতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যা শুধুমাত্র ওমিক্রনকেই নয়, সবচেয়ে প্রচলিত ডেল্টা-সহ অন্য রূপগুলির বিরুদ্ধেও লড়াই করতে পারে।
‘‘আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে কি না সেটা মূল প্রশ্ন নয়, আসল বিষয়টা হল কত দিন এই প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করবে’’— এমনটাই বলছেন ব্রিটেনে ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের অধ্যাপক পল হান্টার। তিনি আরও বলছেন, ‘‘এই ক্ষমতা জীবনভর থাকবে না সেটা নিশ্চিত।’’
বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে টিকাদান এখন পর্যন্ত কোভিডের বিরুদ্ধে সেরা অস্ত্র। টিকা নিলেই আপনি কোভিডে আক্রান্ত হবেন না, এমনটা কিন্তু নয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতা অনেকখানি কমবে এই বিষয়ে মোটামুটি ভাবে একমত বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ।