বাংলার বাড়ি-গ্রামীণ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে জেলার ৫৫ হাজার ১৭০ জন উপভোক্তার অনুমোদন মিলেছে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
গ্রামীণ এলাকায় দরিদ্রদের পাকা বাড়ি তৈরির জন্য ‘বাংলার বাড়ি-গ্রামীণ’ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়া শুরু হল মঙ্গলবার। এদিন নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন জেলার উপভোক্তার হাতে পাকা বাড়ি তৈরির ওই আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। নবান্নের ওই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, এ দিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক অফিসেও বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বাংলার বাড়ি-গ্রামীণ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে জেলার ৫৫ হাজার ১৭০ জন উপভোক্তার অনুমোদন মিলেছে। এদিন ৫৫ হাজার ১৫৪ জন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক আকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। এ জন্য মোট ৩৩০ কোটি ৯২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে জমা পড়েছে।
এদিন তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের অফিসের সভা কক্ষে আয়োজিত বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি ও সৌমেন মহাপাত্র এবং জেলার আট বিধায়ক। ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি এবং পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যও। বৈঠকে জেলা প্রশাসনের তরফে এই প্রকল্পের বিস্তারিত আলোচনা করেন জেলাশাসক।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আবাস প্লাস প্রকল্পে উপভোক্তা তালিকায় থাকা পরিবার ছাড়াও ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে আবেদন জানানো পরিবার, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেও উপভোক্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলায় এক লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৩০টি পরিবার নিয়ে সমীক্ষা চলেছিল। তদন্তের ৩৩ হাজার ১৮৯টি পরিবারের নাম বাদ পড়েছে। শতাংশের হিসাবে যা প্রায় ১৮ শতাংশ। আর যোগ্য উপভোক্তা হয়েছে এক লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৮৮ টি পরিবার। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫৫ হাজার ১৭০টি পরিবারের নাম অনুমোদন করা হয়েছিল। এ দিন সেই ৫৫ হাজার ১৫৪টি উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) অনির্বাণ কোলে বলেন, এ দিন ৫৫ হাজার ১৫৪টি উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্লককে দেওয়া হয়েছে। মোট তিনটি কিস্তিতে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরির কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে বাকি দু’টি কিস্তির টাকা দেওয়া হবে।’’ বৈঠকে উপস্থিত রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘যাঁরা এবার উপভোক্তা তালিকায় নাম থাকার পরেও টাকা পাননি, পরবর্তী ধাপগুলিতে সেই সমস্ত উপভোক্তারাও টাকা পাবেন।’’