পোড়া জিনিসপত্র।
অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল প্লাস্টিকের গুদাম। শনিবার গভীর রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েও দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ লক্ষ বলে দাবি করেছেন গুদামের ম্যানেজার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পাঁশকুড়া থানার জিয়াদায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে তালবাঁধিতে একটি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের গুদামে শনিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ আগুন লাগে। মুহূর্তে গোটা গুদামে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আগুনের তাপে পাশে থাকা ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গলে যায়। গুদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু ছিল বলে দাবি গুদামের কর্মচারীদের। আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে আসেন গুদামের ম্যানেজার ও কর্মচারিরা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছয় অনেক দেরিতে। দমকলের লোকজন ভোর ৩টে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে পুড়ে যায় কারখানায় মজুত সমস্ত প্লাস্টিক, নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র।
গুদামে মূলত পরিত্যক্ত প্লাস্টিক মজুত করে রাখা হত বলে দাবি। এখান থেকে অন্য কারখানায় ওই প্লাস্টিক নিয়ে যাওয়া হত গলানোর জন্য। গুদামের ম্যানেজার শেখ সইদুল ইসলাম দাবি করেন, ‘‘প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার প্লাস্টিক ও জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে। দমকল দেরিতে আসার কারণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকল সময়মতো এলে কিছু সামগ্রী বাঁচানো যেত।’’
যদিও পাঁশকুড়া থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তমলুক থেকে আসতে দমকলের যতটুকু সময় লাগার সে টুকুই লেগেছে।’’ শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে পুলিশের অনুমান।