সমীরের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।
পরিবারের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্তের। জেলা পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ভরসা করেছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি’র উপরে। কিন্তু কোলাঘাটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার তদন্তে শেষে ‘সিট’ গঠন করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
গত সোমবার রাতে কোলাঘাটের দেউলবাড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সমীর পড়িয়া নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ছেলের খুনের ঘটনায় সমীরের বাবা প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি করে আসছিলেন। বুধবার নিহত ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সমস্ত রকমের আইনি সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরে শুক্রাবার তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল নিহত ব্যবসায়ীর বাড়িতে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের তমলুক জেলার সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান চিত্ত মাইতি, তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি অসীম মাজি প্রমুখ।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল দেখা করে আসার পরই মত বদলান নিহত ব্যবসায়ীর বাবা সুকুমার পড়িয়া। ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের উপরে ভরসা করছেন তিনি। এ দিন সুকুমার বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতার বললেন কোনও বিভ্রান্তিতে পা না দিতে। পুলিশও আমাদের বলছে ভরসা রাখতে। অপরাধী যদি ধরা পড়ে যায় তাহলে আর সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। আপাতত পুলিশের ওপরই আমরা ভরসা রাখছি।’’
উল্লেখ্য, এক দিন আগেই সমীরের খুন হওযার এলাকায় এসেছিলেন সিআইডি’র তিন সদস্য। কিন্তু ওই খুনের পাঁচদিন পরও অধরা দুষ্কৃতীরা। খুনের কিনারা করতে তাই ‘সিট’ গঠন করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। তমলুকের এসডিপিও সাকিব আহমেদ এ দিন বলেন, ‘‘স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই দোষীরা ধরা পড়বে।’’
এদিন নিহত ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দেন তৃণমূলের তমলুক জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘উনি তো শুধু সিবিআই সিবিআই করছেন। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যাদের যোগ রয়েছে, তারা তদন্তকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য শুধু সিবিআই চায়। সিবিআই এ রাজ্যে অনেক ঘটনার তদন্ত করছে। কোনওটার কিনারা হয়েছে? পুলিশ তদন্ত করছে। দোষীরা ধরা পড়বে। আমাদের সরকার এই পরিবারের পাশে রয়েছে।’’