ফাইল চিত্র
ফের হাতির হানায় ক্ষতি হল ফসলের।
শনিবার রাতে ধামকুড়া জঙ্গল থেকে একটি হাতির পাল গড়বেতার গোপীনাথপুর হয়ে সীতানগর, অধোয্যা, আধকাটা এলাকায় ঢোকে। জমিতে থাকা আলু গাছ খেয়ে ও মাড়িয়ে দেয়। গ্রামবাসীরা হুলা জ্বালিয়ে তাড়া করলে হাতিগুলি ধামকুড়ার জঙ্গলে ঢুকে যায়। যাওয়ার সময়ে সর্ষে এবং কপি খেতেও নামে তারা।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবারও হাতিগুলি ধামকুড়ার জঙ্গলেই ছিল। ওই পালে ১৬টি হাতি রয়েছে। দিন দশেক ধরেই তারা কখনও পানশিউলি, আবার কখনও ধামকুড়ার জঙ্গলে থাকছে। বনকর্মী ও স্থানীয় মানুষের তাড়া খেয়ে আড়াবাড়ির জঙ্গলেও চলে যাচ্ছে। বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির পালটিকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পালটি যাতে কোনও ভাবে ঘাটালের দিকে না ঢুকে পড়ে—সেই দিকেও নজর রাখা হয়েছে। কারণ গত বছর হাতির বড় একটি দল চন্দ্রকোনা হয়ে ঘাটাল ও দাসপুরের রূপনারায়ণ নদ পেরিয়ে হাওড়া জেলায় ঢুকে পড়েছিল। সেবারও ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছিল।
চাষের খেতে এখন বেশিরভাগ জায়গাতেই আলুগাছ রয়েছে। কোথাও কোথাও সর্ষে, শীতের আনাজও রয়েছে। অনেক জমিতে গ্রীষ্মকালীন আনাজ চাষও শুরু হয়েছে। চাষিরা জানান, চলতি মরসুমে এমনিতেই ধসা রোগে আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে। এখন মাঠ থেকে আলু তোলার সময়ে হাতির হানায় ঘুম উড়ে গিয়েছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের। তাঁদের ক্ষোভ, হাতির দলকে অন্যত্র সরানোর জন্য বন দফতরে বার বার জানানো হলেও গ্রামে প্রায়ই হাতি ঢুকছে। ফসলের ক্ষতি করছে।
বন দফতরের মেদিনীপুরের এডিএফও পুরবী মাহাতো বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতির পালটিকে গভীর জঙ্গলে পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’’