— প্রতীকী ছবি।
১৫টি হাতির একটি দল সুবর্ণরেখা নদী পার হওয়ার সময় ডুবে মৃত্যু হয় এক হস্তি শাবকের। এ বার সেই শাবকহারা মা হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল দুই গ্রামবাসীর। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার দেউলবাড়ের রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায়।
বুধবার ভোরে দু’টি হস্তিশাবক-সহ ১৫টি হাতির একটি দল খড়গপুর বন বিভাগের অন্তর্গত সাঁকরাইল রেঞ্জের রোহিনীর দিক থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে নয়াগ্রামের চাঁদাবিলা রেঞ্জে প্রবেশ করছিল। সেই সময় একটি হস্তিশাবক গর্তে পড়ে যায়। প্রচুর জল থাকায় ডুবে মৃত্যু হয় হস্তিশাবকটির। মা হাতি তার মৃত সন্তানকে ছেড়ে যেতে চায়নি। সন্তান হারানোর দুঃখে গর্জন করতে করতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছোটাছুটি করতে থাকে। এ দিকে, হাতি মৃত্যুর খবর চাউর হতেই প্রচুর মানুষ হাতি দেখতে ভিড় করেন রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। সেই সময় আচমকাই মা হাতি গ্রামবাসীদের তাড়া করে। দৌড়ে দুই গ্রামবাসীকে ধরে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের দু’জনের মৃত্যু হয়।
বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির হানায় দেউলবাড় গ্রামের বাসিন্দা ৭৩ বছরের আনন্দ জানা এবং বিরিবেড়িয়া গ্রামের ৬০ বছরের শশধর মাহাতোর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও একটি বাইক ভেঙেছে হাতিটি। রামেশ্বর-কটক রুটের একটি বাসকেও মা হাতি ধাক্কা দেয় বলে জানা গিয়েছে। খড়গপুর বন বিভাগের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে দেখে যা মনে হচ্ছে, নদী পারাপারের সময় জলে ডুবে একটি হস্তি শাবকের মৃত্যু হয় এবং মা হাতির হানায় দু’জন গ্রামবাসীর মৃত্যুও হয়েছে। সরকারি নিয়মনীতি মেনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মৃত হাতিটির বয়স আনুমানিক ৬ মাস।’’