Elephant attack

পুজো দেখে ফেরার পথে রাতে হাতির মুখে, শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড়! ঘটনাস্থলে মৃত্যু লালগড়ের বাসিন্দার

সোমবার রাতে পুজো দেখে জঙ্গলের পথ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন শঙ্কর। আচমকাই সামনে চলে আসে হাতি। পালানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। হাতিটি শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে শঙ্করকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

লালগড় শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ১২:৫৩
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

হাতির হানায় মৃত্যু হল শঙ্কর মাহাতো নামে এক ব্যক্তির। সোমবার গভীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় রেঞ্জের শালবনি থানার অন্তর্গত গাড়রা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে বন দফতর এবং পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বটডাঙ্গায় মনসা পুজো দেখে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন বছর ৫৭-র শঙ্কর। জঙ্গলের রাস্তায় আচমকাই তিনি হাতির সামনে পড়ে যান। হাতি দেখে ছুটে পালানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন শঙ্কর। হাতি তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। লালগড় বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দু’টি হাতি রয়েছে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় একটি হাতি শঙ্করকে তুলে আছাড় মারলে তাঁর মৃত্যু হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

বন দফতর সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের গিধনি রেঞ্জের আমতলিয়া বিটের বাঘাখন্দর-আমতলিয়া সংলগ্ন জঙ্গলে ১০ থেকে ১২টি হাতি বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘোরাফেরা করছে। ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের পুকুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের পাশে সাতটি হাতির একটি দল রয়েছে। খড়্গপুর বন বিভাগের অধীন চাঁদাবিলা রেঞ্জের তপোবন জঙ্গলেও ৫০টির বেশি হাতি রয়েছে। মেদিনীপুর বন বিভাগের অধীনে ছ’টি হাতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে কেউ হাতির সামনে পড়ে না যান, সে জন্য বন দফতর সাধারণ মানুষকে জঙ্গলের পথ আপাতত এড়িয়ে চলার আবেদন করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement