কলেজ কলেজিয়েট মাঠে তৈরি হচ্ছে স্টল। নিজস্ব চিত্র।
কাল, শুক্রবার থেকে জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে শুরু হচ্ছে ‘বাংলা মোদের গর্ব’ শীর্ষক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে শহরের কলেজ- কলেজিয়েট স্কুল মাঠে তিনদিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে কাল, শুক্রবার। চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রদর্শনী চত্বরে থাকা একটি স্টল থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির অন্তর্গত প্রকল্পগুলির ফর্মও মিলবে। বছর ঘুরলে বিধানসভা ভোট। তার আগে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিকে আরও জনপ্রিয় করতেই এমন বন্দোবস্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার মানছেন, ‘‘শুক্রবার থেকে মেদিনীপুরে ‘বাংলা মোদের গর্ব’ অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে। প্রদর্শনীতে বেশ কিছু স্টল থাকছে। একটি স্টলে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির অন্তর্গত প্রকল্পগুলির ফর্ম থাকবে।’’
অনুষ্ঠানের প্রচারে কলেজ- কলেজিয়েট স্কুল মাঠ-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের ব্যাখা, করোনার জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে। তা আরও ছন্দে ফেরাতেই এমন অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন। করোনার জেরে হস্তশিল্পীদের রুজি- রোজগারে প্রভাব পড়েছে। তাই প্রদর্শনীর আয়োজনে খুশির হাওয়া হস্তশিল্পীদের মধ্যেও। কারণ প্রদর্শনীতে থাকা কিছু স্টলে হস্তশিল্পীদের তৈরি নানা রকম নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকবে। ঘর সাজানোর জিনিসপত্র থাকবে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এমন আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্যই হল, আঞ্চলিক সংস্কৃতির প্রসার ও প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।’’ জানা গিয়েছে, প্রদর্শনীতে সবমিলিয়ে ২২টি স্টল থাকছে। এরমধ্যে ৭টি স্টল হস্তশিল্পের। পর্যটন সংক্রান্ত স্টল থাকছে। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক জানান, লোকশিল্পী ও অনান্য শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে। পাশাপাশি থাকবে পুষ্প প্রদর্শনী ও রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপর প্রদর্শনী।
লোকশিল্পী ও অনান্য শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শুক্রবার শিল্পী সহজ মা- এর অনুষ্ঠান রয়েছে। শনিবার শিল্পী সৌমিত্র রায়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। রবিবার শিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। পরিবেশিত হবে ছৌ নৃত্য, পাইক নৃত্য, রায়বেশ, আদিবাসী নৃত্য। প্রশাসন জানিয়েছে, করোনা সংক্রান্ত বিধিগুলি মেনেই অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে।
ঝাড়গ্রাম জেলাতেও শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ওই কর্মসূচি। ঝাড়গ্রাম জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, তিনদিনের ওই মেলা, প্রদর্শনী ও এক্সপো চলবে অরণ্যশহরের অফিসার্স ক্লাব ময়দানে। থাকবে ১৪টি স্টল। এছাড়াও হস্তশিল্পীদের ছ’টি স্টল থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পী, কলকাতার শিল্পী ও লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পীরা অনুষ্ঠান করবেন। এখানে শুক্রবার মিস জোজো, শনিবার সহজ মা ও রবিরার সৌমিত্র রায়ের অনুষ্ঠান করার কথা।