bengal flood

Bengal flood: ত্রাণ শিবির থেকে ফিরে প্রশ্ন, এ বার খাব কী?

মজুত ধান, চালের বস্তাও জলে পচে গিয়েছে অনেকের। রয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট।  বানভাসি ঘাটাল জুড়ে জোরালো হচ্ছে ত্রাণের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২১ ০৭:১২
Share:

হেলিপ্যাড পরিদর্শন। ঘাটালে। নিজস্ব চিত্র।

দুর্যোগ কাটছে। জল নামছে। তবু দুর্ভোগে দাঁড়ি পড়ছে না। ত্রাণ শিবির থেকে ফিরেও স্বস্তি নেই জলভাসিদের। বন্যার জলে কারও আসবাব ভেসে গিয়েছে, কারও রান্নাঘর তলিয়ে গিয়েছে, কারও আবার বাড়িটাই হেলে পড়েছে। মজুত ধান, চালের বস্তাও জলে পচে গিয়েছে অনেকের। রয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। বানভাসি ঘাটাল জুড়ে জোরালো হচ্ছে ত্রাণের দাবি।

Advertisement

মাঝেমধ্যে বৃষ্টিতে উদ্বেগও যাচ্ছে না। শনিবার রাত থেকে ফের বৃষ্টি নেমেছিল। রবিবার সকালের দিকেও ভারী বৃষ্টি হয় ঘাটালে। তারপর অবশ্য আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। অবস্থা বুঝে অনেকেই ত্রাণ শিবির বা পড়শিদের উঁচু বাড়ির আশ্রয় ছেড়ে ভিটেমুখো হয়েছেন। তবু শান্তি নেই। ঘাটাল ব্লকের আজনবনগর ১ পঞ্চায়েতের রাজেন কুর্তি, বীরসিংহ পঞ্চায়েতের অরুণ সিংহরা বলেন, “বন্যার জলে ঘর ভেঙে গিয়েছে। যা ছিল সব ভেসে চলে গিয়েছে। ত্রিপল টাঙিয়ে কোনও ভাবে আছি। রান্না করব কী করে?”

দুর্গতদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকেই। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ বিলি চলছে। পাশাপাশি একাধিক সংগঠনের তরফে থেকে ঘাটাল জুড়ে রান্না করা খাবার বিলি শুরু হয়েছে। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ইতিমধ্যেই ঘাটালের ৭ হাজার বাসিন্দাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে। ঘাটালের সাংসদ দেবের উদ্যোগেও প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে রান্না করা খাবার বিলি হচ্ছে। দিনে প্রায় দু’হাজার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে সাংসদ প্রতিনিধি জানিয়েছেন। শনিবার রাত থেকে ঘাটাল থানার উদ্যোগেও শুরু হয়েছে পুলিশের ‘কমিউনিটি কিচেন’। ঘাটাল থানার দশটি প্লাবিত এলাকায় নৌকায় করে সকাল-বিকেল দু’হাজার পরিবারকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল ও বিজেপির পক্ষ থেকেও চলছে খাবার বিলি।

Advertisement

দিন কয়েক আগে ঘাটালে ‘দুয়ারে ডাক্তার’ পরিষেবা শুরু করেছে প্রশাসন। বানভাসি এলাকায় বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করে ওষুধ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ঘাটালে শিবির করে গবাদি পশুর চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। প্রাণী সম্পদ দফতরের উদ্যোগে গ্রামে গিয়েও চলছে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির চিকিৎসা। দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “ত্রাণসামগ্রী ও পানীয় জলের পাউচ বিলির পাশাপাশি গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ঘাটাল ব্লকের সর্বত্র শিবির করে গবাদি পশুর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। গবাদি পশুদের জন্য খাবারও দেওয়া হচ্ছে।”

কাল, মঙ্গলবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সফরের যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। ঘাটালে তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাডও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement