দৃষ্টিহীন যুবককে থেঁতলে মাথা খুন। প্রতীকী ছবি।
নদীর ধার থেকে উদ্ধার হল দৃষ্টিশক্তিহীন যুবকের থেঁতলানো দেহ। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন হতে হয়েছে ওই যুবককে। ওই ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার সকালে শালবনির পারাং নদীর ধারের জমি থেকে সনাতন হেমব্রম (২৫) নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। সনাতন শালবনির শিরশি গ্রামের বাসিন্দা। সনাতনের খুড়তুতো ভাই সূর্য হেমব্রম বলেন, ‘‘আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, সনাতনের দেহ মাঠে পড়ে রয়েছে। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ওর মাথায় এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কে বা কারা থেঁতলে দিয়েছিল। এক মহিলার সঙ্গে ওর সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে আগে অশান্তি হয়েছিল। তবে তখনকার মতো ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তার জেরেই ওকে খুন হতে হল হয়তো। ওর দৃষ্টিশক্তিও কম ছিল।’’
সনাতনের কাকা মঙ্গল হেমব্রম বলেন, ‘‘ছোটবেলায় আমার ভাইপোর বাবা এবং মা মারা গিয়েছিল। ও আলাদা বাড়িতে থাকত। রবিবার রাত আটটা নাগাদ ও ভাত খেয়ে ওই বাড়িতে শুতে গিয়েছিল। তার পর ওকে ডেকে বার করে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। এক জন বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে ওর সম্পর্ক ছিল। এর আগে ওই মহিলার বাড়ির লোকজন ওকে মেরেছিল। তার জেরেই খুন হতে হল কি না বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশ সনাতনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের তদন্তও শুরু হয়েছে।