স্থায়ী ঘর চাইছেন দুর্গতেরা
Egra

পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শনে দিলীপ 

আগুন তাঁদের নিঃস্ব করে গেলেও ভিটেটুকু হাতছাড়া করতে নারাজ দুর্গতেরা। তাই শীতে ঠাণ্ডার মধ্যেই ছাইয়ের স্তূপের উপর পলিথিন টাঙিয়ে রাত কাটিয়েছেন বস্তির অনেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০৯
Share:

ত্রিপলের নীচেই কাটছে দিন। নিজস্ব চিত্র।

জমি আঁকড়ে থেকে ছাইয়ের মধ্যেই ত্রিপল টাঙিয়ে শীতের রাত কাটালেন বাসিন্দারা। পূর্ত দফতরের জায়গা নয়, পুরসভার জায়গায় স্থায়ী বাসস্থানের আর্জি জানালেন বুধবার রাতে এগরায় ভস্মীভূত বস্তির মানুষজন। ইতিমধ্যেই আশ্রয়হীন মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন। আজ, শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ভস্মীভূত বস্তি এলাকা পরিদর্শনে আসবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়ে‌ছে।

Advertisement

এগরা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এগরা-বেলদা সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের জায়গায় বহু বছর ধরে বসবাস করছেন এঁরা। কপালে জোটেনি সরকারি খাস জায়গা। বুধবার রাতে গোটা বস্তি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার পুরসভার তরফে রেশন-সহ জামাকাপড় দেওয়া হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে অনেকের থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তবে আগুন তাঁদের নিঃস্ব করে গেলেও ভিটেটুকু হাতছাড়া করতে নারাজ দুর্গতেরা। তাই শীতে ঠাণ্ডার মধ্যেই ছাইয়ের স্তূপের উপর পলিথিন টাঙিয়ে রাত কাটিয়েছেন বস্তির অনেকে। রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে কুড়িটি ত্রিপল দেন। আশ্বাস দিয়েছেন পাশে থাকার। এগরা যুব তৃণমূলের উদ্যোগে তাঁদের ঘর তৈরির জন্য বাঁশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সব হারিয়ে এখন স্থায়ী বাসস্থানের আশায় রয়েছেন পুড়ে যাওয়া বস্তির মানুষজন। পুরসভার খাস জায়গায় পাকাপাকি বাসস্থানের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। রাখাল হাতি, মুলুক চাঁদ সিংহ-সহ বস্তিবাসীদের অনেকেই এ দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘‘যে কোনও সময় রাস্তা চওড়া হলে ফের মাথার ঠাঁই হারাতে হবে। তাই পুরসভার জায়গায় আমাদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করুক সরকার।’’ এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই পূর্ত দফতর ও পুলিস প্রশাসন এবং ভূমি ও রাজস্ব দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুরসভা। পুলিশের তরফে বস্তিবাসীদের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া কাগজ পত্র সহ আনান্য সামগ্রীর তালিকা চাওয়া হয়েছে।

এগরার পুরপ্রশাসক শঙ্কর বেরা বলেন, ‘‘পুরসভার খাস জায়গা চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাময়িক ভাবে বস্তির মানুষজন এই জায়গায় থাকবেন। পরে জায়গা ঠিক হলে প্রশাসনিক ভাবে তা তাঁদের হস্তান্তর করা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement