কলাবনিতে একটি গ্রামীণ মেলার উদ্বোধনে দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়ির কলাবনিতে মেলার উদ্বোধনে এসে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার বিজেপি সাংসদ কলাবনিতে একটি গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন করেন। সেখানে বক্তৃতা করার সময় মেলার আয়োজন নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, গ্রামীণ মেলাগুলি গ্রামবাংলার অর্থনীতির ফুসফুস।
এ দিন মেলার উদ্বোধনে দিলীপ বলেছেন, ‘‘গ্রামের লোকেদের মিলিত হওয়ার সবথেকে বড় জায়গা গ্রামীণ মেলা। এখানে মানুষ মেলামেশা করতে পারে। হস্তশিল্পী-সহ বিভিন্ন মানুষ নিজেদের তৈরি জিনিস বিক্রি করেন মেলায়। এই মেলাগুলি অর্থনীতির ফুসফুস।’’ এর পরই তাঁর অভিযোগ, বিধিনিষেধ আরোপ করে রাজ্য সরকার গ্রামীণ মেলাগুলি বন্ধ করতে তৎপর। এ প্রসঙ্গে বর্ষবরণে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ভিড়ের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘কলকাতার নিউটাউনে রয়েছে ইকো পার্ক। যেখানে আমি হাঁটতে যায়। সেখানে বছরের প্রথমদিন ৭৬ হাজার মানুষ এসেছিল। সেখানে কিছু না করে এখানে মেলা বন্ধ করা হচ্ছে।’’ তাই তিনি ওই এলাকার সাধারণ মানুষকে মেলায় আসার জন্য অনুরোধও করেছেন। যদিও করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের সময়ে এই আহ্বান কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যদিও দিলীপের এই অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন তৃণমূল নেতৃত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন, ‘‘বিজেপি-র নেতারা বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। সকালে কী বলেন, আর বিকেলে কী বলে তাই মনে রাখতে পারেন না। সরকারি নিয়ম-কানুন মানেন না।’’