দিঘার সৈকতে রবিবার সন্ধ্যায় ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
হাতে এক সপ্তাহও বাকি নেই শারদোৎসবের। তবুও ষষ্ঠী থেকে দশমী— পুজোর চার দিনে এখন পর্যন্ত দিঘার হোটেল বা লজগুলিতে অগ্রিম রুম বুকিংয়ে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি বলে খবর। যদিও মহাঅষ্টমী থেকে পর্যটকদের ভিড় বাড়লে ‘স্পট বুকিং’ বাড়তে পারে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
পুজোর আগে এ দিনই ছিল শেষ রবিবার। তবুও আশানুরূপ ভিড় নেই দিঘায়। পর্যটক নেই বললেই চলে মন্দারমণিতেও। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই দাবি, ছুটি পাবেন কি না, তা ভেবে আগে থেকে অনেকে কোনও পরিকল্পনা করতে পারছেন না। তাই এখনই হোটেল এবং লজগুলিতে রুম বুকিং করেননি। রবিবার ওল্ড দিঘার এক হোটেল মালিক বলছেন, ‘‘মাত্র সাত থেকে আটটা রুম বুকিং হয়েছে। এখনও ৫০ টার বেশি ঘর ভাড়া হয়নি।’’ দিঘা- শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলছেন, ‘‘ষষ্ঠী তো দূরের কথা সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রায় হোটেল এবং লজ ফাঁকা রয়েছে।’’
ওল্ড এবং নিউ দিঘাতে সব মিলিয়ে ৭০০র বেশি হোটেল এবং লজ রয়েছে। পুজোর সময় সেখানে ঘুরতে যাওয়ার আলাদা একটা হিড়িক থাকে। তাই আগেভাগেই বুকিং করে রাখতে হয় সেখানের হোটেল। কিন্তু এ বছর কেন হোটেল এবং লজে অগ্রিম বুকিং হচ্ছে না?এ বিষয়ে দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন এমন হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না। পুজোর কয়েকদিন লম্বা ছুটি আছে। আশা করি হোটেল এবং লজের অধিকাংশই বুকিং হয়ে যাবে।’’