শহরতলির রেললাইনের আন্ডারপাসে জল। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার থেকে বৃষ্টির জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। মঙ্গলবারও হুগলি, হাওড়া এবং দুই ২৪ পরগনার শহরতলির কিছু এলাকায় জল জমে আছে। দুই মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টি থেকে ঘটা দুর্যোগে মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেলেঘাইয়ের জলে ডুবে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার ভগবানপুর ১ ব্লকের ভূপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া এলাকায় স্থানীয়দের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। নৌকায় থাকা আট-ন’জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতেরা হলেন, প্রদীপ মাইতি (৩১) এবং নন্দন মণ্ডল (২৬)। তাঁদের বাড়ি ভূপতিনগর থানার বাগদিবাঁধ গ্রামে। অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের থালবনি থানার বুড়িশোল গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ৩ বছরের বাচ্চা মেয়েটির নাম পিয়াসা ভুঁইয়া। ঘটনায় আহত হয়েছেন বাচ্চাটির বাবা এবং মা। তার মা এখন অন্তঃসত্ত্বা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই গ্রামে।
ঘূর্ণাবর্তের জেরে হয়ে চলা বৃষ্টিতে সোমবার থেকেই ভেসেছে হুগলি জেলার শহরাঞ্চল। রাস্তাঘাট জলে ভর্তি। ডানকুনি, উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল-- সব জায়গার ছবিটা ছিল একই রকম। মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি তেমন হয়নি। বিভিন্ন রেল স্টেশনের তলার রাস্তা এখনও জলমগ্ন। একই অবস্থা উত্তর ২৪ গরগনার বারাসত-সহ অন্যত্র। জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বারাসতের শরৎপল্লি এলাকার মানুষ রাস্তা অবরোধ করেন মঙ্গলবার সকালে। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।