ভোটে জিতেছিল সিপিএম। কিন্তু বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। ফাইল ছবি।
ভোটে জিতেছিল সিপিএম। কিন্তু বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। পাঁশকুড়ার যশোড়া সমবায় সমিতির বোর্ড গঠনের সময় ব্যাঙ্ক নমিনি তৃণমূলকে সমর্থন করায় ড্র হয়ে যায় সদস্য সংখ্যা। লটারিতে জিতে যশোড়া সমবায়ের বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। এই নিয়ে পাঁশকুড়ায় পরপর সাতটি সমবায়ের দখল করল তৃণমূল।
গত ২৬ মার্চ যশোড়া সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। ৯ আসন বিশিষ্ট এই সমবায়ে সিপিএম পাঁচটি আসনে জেতে। চারটি আসন পায় তৃণমূল। ভোটে হেরে গেলেও ওই দিনই তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি সুজিত রায় ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁরাই বোর্ড গঠন করবেন। সুজিতের ভবিষ্যৎবাণী কার্যত এদিন মিলে গিয়েছে। তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি সুজিত রায় বলেন, ‘‘যশোড়া সমবায়ে বোর্ড গঠনের ব্যাপারে আমি আশাবাদী ছিলাম। অবশেষে সেটাই বাস্তবায়িত হল।’’’
এদিন বোর্ড গঠনের সময় একজন ব্যাঙ্ক নমিনি থাকেন। এদিন যশোড়া সমবায়ের বোর্ড গঠনে প্রক্রিয়ায় ব্যাঙ্ক নমিনি শাসক দল সমর্থিত জয়ী প্রার্থীদের সমর্থন করেন। ফলে উভয় দলের সদস্য সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়। পরে সমবায়ের সম্পাদক, সভাপতি এবং সহ সভাপতি নির্বাচনের জন্য লটারি করা হয়। লটারিতে জিতে সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি পায় তৃণমূল। সিপিএম পায় সভাপতি। সমবায়ের বোর্ডের ক্ষেত্রে সম্পাদকের পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্পাদক যে দলের সমর্থিত হন, সমবায়ের বোর্ড কার্যত সেই দলের হাতেই থাকে। লটারির মাধ্যমে জিতে যশোড়া সমবায়ের সম্পাদক নির্বাচিত হন তৃণমূলের অনন্ত সামন্ত। সহ-সভাপতি হন তৃণমূলের নিতাই মান্না। সভাপতি হয়েছেন সিপিএমের নীরজ কুমার বেরা।
জিতেও বোর্ড গর্ঠন করতে না পারা প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক নমিনি শাসক দলকে সমর্থন করায় যশোড়া সমবায়ের বোর্ড সমান সমান হয়ে যায়। লটারির মাধ্যমে শাসক দল সাম্পাদক ও সহ-সভাপতি পেয়ে যায়। সমবায় আইন মেনেই সব কিছু হয়েছে। এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে।’’